ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনের সামনে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আজ রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। তার ঠিক ২ ঘণ্টা পর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছে। বেলা সোয়া ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঠিক একইদিনে রাজধানীর দুটি জায়গায় ২ ঘণ্টার ব্যবধানে ককটেল বিস্ফোরণ কি কেবলই কাকতালীয়, নাকি কোন পরিকল্পনার অংশ?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক সাধারণ ছাত্রের সাথে কথা বলে জানা যায়, সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে মধুর ক্যান্টিনের সামনের তিন জায়গায় তিনটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় বিকট শব্দ শোনা যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ছাত্র জানান, এসময় ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার লুত এবং ভিপি নূরের সন্ত্রাসী গ্ৰুপের অন্যতম মশিউর রহমানসহ ভিপি নূরের সাঙ্গপাঙ্গদের ক্যান্টিন এলাকায় দেখা যায়। বিস্ফোরণের পরপরই দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আখতার ও মশিউর একটি মোটরসাইকেল যোগে ক্যাম্পাস ত্যাগ করে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কর্মরত একাধিক গণমাধ্যমকর্মী ধারণা করছেন বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের পর নিজেদের উপর থেকে দায় চাপতেই ওই সময় মোটরসাইকেলে দ্রুত ক্যাম্পাস এলাকা ত্যাগ করে নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পুনরায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান তারা। এর জন্যে বিএনপি কার্যালয়কে বেছে নেয়া হয়, যাতে সহজেই এই হামলার দায় সরকারের উপর চাপানো যায়।
পল্টনে বিস্ফোরণের বিষয় জানতে চাইলে পল্টন থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক জানান, ‘কিছুক্ষণ আগে পার্টি অফিসের সামনে কে বা কারা একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজ দেখে জড়িতদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। আশা করা হচ্ছে দ্রুতই তাদের চিহ্নিত করা যাবে।
এদিকে আজ সকাল থেকেই হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ক্যাম্পাসে কয়েক দফা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়। সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি আখতার লুতের মতো সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনা এবং এই ধরণের সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষক ব্যর্থ ভিপি নূরের পদত্যাগ।