ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে ভোট শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি)। এ নির্বাচনের সর্বশেষ অবস্থা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন দক্ষিণের মেয়রপ্রার্থী প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বাংলাদেশে দেশটির দূতাবাসের পলিটিক্যাল কাউন্সিলর বার্ন্ট ক্রিস্টেনসেনকে নির্বাচনের নানা বিষয় ও সর্ব মেষ পরিস্থিতি জানান বিএনপি মনোনীত এ মেয়রপ্রার্থী।
ইশরাক বলেন, নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের মতামত জানতে চাওয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি কেমন ছিল, আগামীকালের ভোট নিয়ে আমাদের মধ্যে কি শঙ্কা কাজ করছে এসব বিষয়সহ নির্বাচনের সার্বিক বিষয় তুলে ধরেছি।
দুপুরে গুলশানের একটি বিদেশি রেস্টুরেন্টে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের প্রতিনিধির দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
ইশরাক বলেন, আমি যুক্তরাষ্ট্রকে নির্বাচনের ইভিএমের বিষয়টি বলেছি। সরকার দল ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলায় কমিটি করে সন্ত্রাসীদের জড়ো করে ঢাকায় আনছে বলেও জানিয়েছি। কেন্দ্র দখলের পায়তারা চলছে বলেও বৈঠকে জানিয়েছি।
বৈঠকের কয়েকদিন আগে গোপীবাগের নির্বাচনি প্রচারণার মিছিলের ওপর স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মীদের হামলার বিষয়টিও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধির জানানো হয়েছে বলেও জানান ইশরাক হোসেন। তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন কীভাবে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এখন সেই ঘটনায় আমাদের কর্মীদেরই গ্রেফতার করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করেছি উল্লেখ করে ইশরাক হোসেন বলেন, এটা পূর্বনির্ধারিত বৈঠক। তিনি সব প্রার্থীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন। আমার প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গেও বসেছেন।
ইশরাক জানান, ভোটের দিন দক্ষিণ ও উত্তরে বিভিন্ন কেন্দ্রে যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষক টিম যাবেন।
ভোটের দিনটা কেমন যাবে জানতে চাইলে ইশরাক সাংবাদিকদের বলেন, কালকের দিনটি কেমন যাবে, এটি কেবল মহান আল্লাহ বলতে পারবেন। পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি যে, কি কি ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সরকারি দলের প্রার্থীদের পক্ষ থেকে চালানো হতে পারে। আমি দেখেছি যে, বেশিরভাগ জরিপগুলোতে ধানের শীষ ৮০ পারসেন্টে এগিয়ে আছে।এগুলো দেখে হয়তো তারা জোর-জবরদস্তি করে কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করবে। আমাদের যে একটা গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে, ওরা তা রুখতে চাচ্ছে।
সিটি নির্বাচনে এবার দখলদারিত্ব মেনে নেওয়া হবে না জানিয়ে ইশরাক হোসেন বলেন, ভোটাররাও তা কোনও দখলদারিত্ব মেনে নেবেন না। আমরা কেন্দ্র পাহারা দেবো, দখলমুক্ত করে ভোটারদের ভোট দেওয়ার জন্য পরিবেশ তৈরি করবো।
বৈঠকে বিএনপিপর সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স উপস্থিত ছিলেন।