নিউজ ডেস্ক:
আসন্ন রমজান মাস সামনে রেখে ভোজ্যতেলের নির্ধারিত দাম কার্যকর করতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সরকার। তবে উৎপাদন ‘স্লো’ করে কৃত্রিম সঙ্কটের মুখে সব ধরনের ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর প্রমাণ পেয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা এবং জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতর। এক্ষেত্রে ভোজ্যতেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বা মিলগুলোতে সবচেয়ে বড় ধরনের অনিয়ম হয়েছে। মিলাররা সাপ্লাই অর্ডার (এসও) এবং ডেলিভারি অর্ডার (ডিও) বিক্রি করে পাইকারদের কাছ অগ্রিম টাকা তুলে নিলেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তেল সরবরাহ করেনি। ফলে বাজারে ভোজ্যতেলের সঙ্কট তৈরি হয়। আর এক্ষেত্রে পাল্লা দিয়ে বাড়ে ভোজ্যতেলের দাম। অন্যদিকে এখনও খুচরা বাজারে খোলা সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। পামওয়েলও বিক্রি হচ্ছে নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি মূল্যে। তবে অভিযানের মুখে বোতলজাত সয়াবিন তেল গায়ে লিখিত (এমআরপি) মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। ভোজ্যতেলের উৎপাদনও সরবরাহে অনিয়মের কারণে প্রতিনিধিদের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট না হয়ে ৪ প্রতিষ্ঠানকে আবারও তলব করা হয়েছে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
জানা গেছে, ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধির পেছনে অসাধু ব্যবসায়ীরাই দায়ী। বিশেষ করে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হঠাৎ করে উৎপাদন কার্যক্রম ‘স্লো’ করে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে। রোজার সময় ভোজ্যতেলের বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়। কিন্তু ওই সময় দাম বাড়ানোর কারসাজিতে মিলগুলো উৎপাদন কমিয়ে দেয়। মিলগুলোর এ ধরনের অপতৎপরতা কয়েক দশকের পুরনো। এছাড়া পাইকারি ব্যবসায়ীদের এসও এবং ডিও বাণিজ্য রয়েছে। সব মিলিয়ে কারসাজির কারণে অস্থির ভোজ্যতেলের বাজার। মিলগুলোতে অভিযানের মুখে বেশ কিছু অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতর। এ কারণে ভোজ্যতেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে সঠিক ব্যাখ্যা চেয়েছে সংস্থাটি। এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এক অনুষ্ঠানে আক্ষেপ করে বলেন, অসাধু ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা যত বড়ই শক্তিশালী হোক তারা সরকারের চেয়ে বড় নয়।