নিউজ ডেস্কঃ
বিশ্বখ্যাত মেডিকেল যন্ত্রপাতি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান মেডট্রনিক্স ও ওয়ালটনের কারিগরি সহযোগিতায় দেশে তৈরি হয়েছে ভেন্টিলটের।
তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে বিশ্বমানের পিবি ৫৬০ মডেলের স্পেসিফিকেশনে ‘ডব্লিউপিবি ৫৬০ ভেন্টিলেটর’ তৈরি হয়েছে, এখন সেগুলো ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
মঙ্গলবার ভিডিও কনফারেন্সে প্রতিমন্ত্রী জানান, ওয়ালটন দেশে তৈরি ভেন্টিলেটরের ৩ মডেলের ফাংশনাল প্রোটোটাইপ শিগগিরই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে পাঠাবে। তাদের ছাড়পত্র পাবার পরই ওয়ালটন পরীক্ষামূলক ও বাণিজ্যিক উৎপাদনে যেতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি জানান, ফাংশনাল প্রোটোটাইপের তিনটি ভেন্টিলেটরের মধ্যে একটি ওয়ালটন মেডট্রনিক্সের সাথে তৈরি করেছে। অন্য দুটি ওয়ালটনের নিজস্ব উদ্ভাবনী। মেডট্রনিক্সের সাথে তৈরি এ ভেন্টিলেটরের নাম দেওয়া হয়েছে ডব্লিউপিবি ৫৬০।
ওয়ালটনের নিজস্ব উদ্ভাবনে তৈরি ভেন্টিলেটরের নাম ‘ওয়ালটন কোভিড বিল্ড ভেন্টিলেটর ২০২০’ বা ডব্লিউসিভি-২০ এবং ডব্লিউএবি-২০’।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করছি করোনা মহামারি খুব দ্রুতই শেষ হবে। কিন্তু মহামারি দীর্ঘ হলে আমরা দেশে তৈরি মানসম্মত ভেন্টিলেটরের দ্বারা চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হব।
ইতোমধ্যে এটুআই ইনোভেশন ল্যাব থেকে ১৮টি ভেন্টিলেটর তৈরি করা হয়েছে। এগুলোর মান যাচাই বাছাই করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম, এলআইসিটি প্রকল্পের আইটি-আইটিইএস পলিসি অ্যাডভাইজার সামি আহমেদ, ওয়ালটনের ভেন্টিলেটর প্রকল্প প্রধান প্রকৌশলী গোলাম মোর্শেদ, লিয়াতক আলী, ওয়ালটনের পরিচালক লিয়াকত আলী,মেডট্রনিক্সের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা অনলাইন সাংবাদিক সম্মেলনে যােগ দেন।
ওয়ালটনের প্রতিনিধি গোলাম মোর্শেদ বলেন, এফডিএ সার্টিফাইড এ ভেন্টিটেরটির যন্ত্রাংশের যোগান দিচ্ছে মেডট্রনিক। তারা পাঁচটি দেশের পাঁচ কোম্পানির সাথে যৌথ উদ্যোগে উৎপাদনে যাওয়ার ব্যাপারে একমত হয়।
‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত এ ভেনিটলেটরের সংযোজন হবে ওয়ালটনের কারখানায়।