নিজস্ব প্রতিবেদক:
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব নিয়মিত জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, অস্ত্রধারী অপরাধী, মাদক, ছিনতাইকারীসহ ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় সিপিসি-২, নাটোর ক্যাম্প, র্যাব-৫, রাজশাহীর একটি অপারেশন দল গতকাল বুধবার (১৪ জুলাই) রাত ৮টা থেকে ১২টা পর্যন্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নাটোর জেলার লালপুর থানার বলিতিতা ইসলামপুর ও লালপুর বাজারের বিভিন্ন গুড় তৈরীর কারখানায় কোম্পানী কমান্ডার মির্জা সালাহউদ্দিন ও কোম্পানী উপ-অধিনায়ক অতিঃ পুলিশ সুপার ফরহাদ হোসেন, এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) লালপুর শাম্মী আক্তার নাটোর এর সাথে অভিযান পরিচালনা করে ভেজাল গুড় তৈরী, সংরক্ষণ ও বিক্রয় করার অপরাধে ভেজাল গুড়-১২,৪৮০ কেজি, চিনি শিরা-১৫০ কেজি, সার-০২ কেজি, হাইড্রোজ-০৬ কেজি, ডিটারজেন্ট-৪.৫ কেজি, ডালডা-৩ কেজি, বিস্কুট-১২০ কেজি, ভেজাল রং-৪ কেজি সহ মৃত ফয়েজ উদ্দিন এর ছেলে সেলিম হোসেন ভুট্টু (৪০)কে নগদ অর্থ ২০,০০০/-(বিশ হজার) , মজিবুর রহমান এর ছেলে মতিউর রহমানকে ৫০,০০০(পঞ্চশ হাজার), সোবাহান মজুমদার এর ছেলে রাশেদকে নগদ অর্থ ৫০,০০০/-(পঞ্চশ হাজার) এবং বালিতিতা ইউনিয়নের ইছার উদ্দিন এর ছেলে রাকিব হাসানকে নাটোর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় উক্ত আটককৃত ০১ নং থেকে ০৩ নং ব্যক্তিদেরকে মোট ১,২০,০০০/- (এক লক্ষ বিশ হাজার) টাকা জরিমানা ও ০৪ নং আসামীকে ০১ (এক) মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আবু রাসেল।
পরবর্তীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশে সকল আলামত ধ্বংস করা হয়েছে এবং আটা এবং চিনি প্রকাশ্য নিলামে ১,২০,৪৪০/- টাকায় বিক্রি করা হয় বলে জানা যায়। উক্ত টাকা সরকারী কোষাগারে জমা করা হবে বলে নিশ্চিত করে র্যাব। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত ব্যাক্তিকে নাটোর কেদ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।