ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, আগামী পহেলা বৈশাখ থেকে দেশব্যাপী ম্যানুয়াল ভূমি উন্নয়ন কর গ্রহণ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থাও ক্যাশলেস হবে। অনলাইনে কর দেওয়ার পর অনলাইনেই কিউআর কোড সমৃদ্ধ দাখিলা (রশিদ) সংগ্রহ করতে পারবেন ভূমি উন্নয়ন করদাতা।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী আজ রাজধানীর সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সচিবালয় বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) উদ্যোগে আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপে’ এ কথা বলেন। এ সময় বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক উপস্থিত ছিলেন।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘কোনো জমির মালিকানার প্রমাাণক হিসেবে ‘সার্টিফিকেট অফ ল্যান্ড ওনারশিপ’ তথা সিএলও নামে একটি মাত্র দলিল ইস্যু করা হবে। সরকারি রেকর্ড অনুযায়ী জমির মালিকের তথ্য, ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের তথ্য সহ সামগ্রিক তথ্যাদি এবং ভূমির অবস্থানগত তথ্য জিও লোকেশন সহ জমির মৌজা ম্যাপের তথ্য একটি দলিলের সাহায্যে নিশ্চিত করা যাবে। ‘
তিনি আরো বলেন, ‘মালিকানা প্রমাণের জন্য আলাদা আলাদা কয়েক ধরনের দলিল ডিড রেজিস্ট্রেশন, খতিয়ান ও মৌজা ম্যাপ বহনের প্রয়োজন হবে না। এতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ অনেক কমে যাবে। ভূমির মালিকের জন্য স্মার্ট কার্ডও ইস্যু করা হবে। যেখানে কার্ড বাহকের মালিকানাধীন জমির তথ্যের ডিজিটাল সংস্করণ থাকবে এবং সব সরকারি রেকর্ড অনুযায়ী সে সব জমির আগের সকল তথ্যও থাকবে। ‘
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার’ এবং ‘ভূমি ব্যবহার ও মালিকানা স্বত্ব’ আইনের খসড়া এমনভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে যাতে আইনি প্রয়োগ ভূতাপেক্ষভাবে সর্বশেষ জরিপ পর্যন্ত কার্যকর হয়। ‘
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অতীতের যেকোনো সময় থেকে এখন ভূমি মন্ত্রণালয় এবং মাঠ পর্যায়ের গণকর্মচারীদের জবাবদিহির আওতায় আনা হয়েছে। অসাধু কার্যক্রম চালানোর জন্য অনেক ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীসহ দেশের সবার ভূমির অধিকারের ব্যাপারে সরকার আন্তরিক এবং দেশের অপেক্ষাকৃত অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল জনগোষ্ঠীর জন্য সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছে। ‘ সূত্র : বাসস।