মঙ্গলবার , ডিসেম্বর ২৪ ২০২৪
নীড় পাতা / উত্তরবঙ্গ / ভুয়া এনজিওর নামে টাকা আত্মসাৎ, সর্বস্বান্ত পুরো গ্রামের মানুষ

ভুয়া এনজিওর নামে টাকা আত্মসাৎ, সর্বস্বান্ত পুরো গ্রামের মানুষ


নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:
রাজশাহী জেলার চারঘাট উপজেলার ঝিকরা গ্রামে তিন মাস অফিস করে ১১ লাখ চার হাজার টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে গ্রাম উন্নয়ন সংগঠন সমিতি নামের একটি বেসরকারি এনজিও। লোভের ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন হত দরিদ্র মানুষ। এ ঘটনায় ঝিকরা গ্রামের ইব্রাহীম আলী বাদী হয়ে ৩নং সরদহ ইউনিয়ন পরিষদে মামলা দায়ের করে। 

চারঘাট উপজেলার ৩নং সরদহ ইউনিয়নের ঝিকরা গ্রাম। এই গ্রামের অধিকাংশ হত দরিদ্রদের মাঝে যেন শকুনের চোখ পড়েছে। এনজিওর প্রতারণার ফাঁদে পড়ে লাখ লাখ টাকা খুইয়ে এখন সর্বস্বান্ত এই এলাকার মানুষ।

এলাকাবাসী জানায়, ঝিকরা গ্রামের শহিদুল হকের মেয়ে সুর্বনা খাতুন চলতি বছরের প্রথম দিকে স্থাানীয় গ্রাহকদের এক থেকে পাঁচ লাখ টাকা ঋণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে অগ্রিম সঞ্চয় আদায় করে। সুর্বনার সাথে একই এলাকার সেলিনা বানু, জাহিদুল, মুকুল, আরিফ, রাসেল, রেবা, মিলি, খলিল ও মাজদুল জড়িত ছিল।

ভুক্তভোগীরা বলেন, এই থানার প্রত্যেক ইউনিয়নেই প্রতারণা করছে সুর্বনা খাতুন। তারা বলেছিল ৩০ হাজার টাকা নিতে হলে ৩ হাজার টাকা জামানত রাখতে হবে। লোভে পড়ে আমরা এই প্রতারণার শিকার হয়েছি।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ঝিকরা গ্রামে গ্রাম উন্নয়ন সংগঠন সমিতির নামে একটি এনজিও খলে প্রতারক সুর্বনা খাতুন। এনজিওর সাইনবোর্ড লাগিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পাতে সুর্বনা খাতুন। পরে গ্রামের নিরীহ মানুষ ও বেকার যুবকদের টার্গেট করে ঋণ দেওয়ার কথা বলে প্রলোভন দিয়ে হাতিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা।

ভুক্তভোগীরা আরো জানান, তার টাকার দায়ে অনেক মানুষ এখন ঘরছাড়া। নি:স্ব হয়ে পথে বসেছেন গ্রামের শত শত মানুষ। এ অবস্থাায় প্রতারক সুর্বনা খাতুনের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

এদিকে এনজিওর নির্বাহী পরিচালক সুর্বনার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এব্যাপারে ৩নং সরদহ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান মধু বলেন, গত ১৯/০৬/২০২০ইং তারিখে বাদীগন, বিবাদী, সাক্ষীগন ও গন্যমান্য ব্যক্তি বর্গের বক্তব্যে প্রমানিত হয় যে, বিবাদী সুর্বনা খাতুন বাদীগনদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় সমিতির নাম করে টাকা উত্তলন করে থাকে। ইউনিয়ন পরিষদে শালিশে বিবাদী সুর্বনা খাতুন বাদীগনদের উক্ত টাকা ২৫/০৭/২০২০ইং তারিখে পরিশোধ করে দিবে বলে সময় নেয়। সময়ের আগেই সুর্বনা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরিত শালিশী নামায় বলা হয় বিবাদী সুর্বনা খাতুন শালিশী সিদ্ধান্তকে অবমাননা বাদীগনদের উচ্চ আদালতে আইনের আশ্রয় নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেয় চেয়ারম্যান হাসানুজ্জাম মধু।

আরও দেখুন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে আনসার-ভিডিপির কম্বল বিতরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক চাঁপাইনবাবগঞ্জে,,,,,,,,,,,,,, দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের অসহায় মানুষের শীতের কষ্ট লাঘবের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন বাংলাদেশ …