নিউজ ডেস্ক:
জামায়াতে ইসলামীর নেতারা তাঁদের দলের নাম পরিবর্তন করে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করলেও নিবন্ধন পাবেন না।
গতকাল সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর।
রাজনৈতিক অঙ্গনে দীর্ঘদিন ধরেই এমন গুঞ্জন চলছে যে জামায়াতে ইসলামী নিন্ধনের জন্য ভিন্ন নামে আবেদন করতে পারে।
এ ব্যাপারে ইসি আলমগীর বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন আদালতের আদেশে বাতিল হয়েছে।
তাই ওই দলের ব্যক্তিরা ভিন্ন নামে আবেদন করলেও নিবন্ধন পাওয়ার সুযোগ নেই। অবশ্য আদালত কোনো আদেশ দিলে ভিন্ন কথা। সে আদেশ মানতে হবে। ’
২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন পায়। দলটির নিবন্ধন বাতিল করার জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিল।
২০০৯ সালে বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের মহাসচিব মাওলানা সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ ব্যক্তি জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা নিয়ে এক রিট পিটিশন করেন।
হাইকোর্ট ২০১৩ সালের ১ আগস্ট এক রায়ে জামায়াতকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন প্রদান আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ও আইনগত অকার্যকর ঘোষণা করেন।
জামায়াত সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় স্থগিত না করে আপিল আবেদন গ্রহণ করায় হাইকোর্টের রায়ের ভিত্তিতেই ২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবর দলটির নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে ইসি। আপিল বিভাগ জামায়াতের সেই আপিল খারিজ করে দেন ২০২০ সালের ৫ আগস্ট।