মঙ্গলবার , ডিসেম্বর ২৪ ২০২৪
নীড় পাতা / জাতীয় / ভাস্কর্য ইস্যু ॥ দেশে মৌলবাদের স্থান হবে না

ভাস্কর্য ইস্যু ॥ দেশে মৌলবাদের স্থান হবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক:

  • সরকারকে কঠোর হওয়ার পরামর্শ ॥ রাষ্ট্রের অস্তিত্ব বিপন্ন করতে চায় ওরা

 ২০১৭ সালের ২৬ মার্চ রাতের কথা। সেদিন দেশের সর্বোচ্চ বিচার প্রাঙ্গণ সুপ্রীমকোর্ট চত্বর থেকে মৌলবাদীদের দাবি মেনে নিয়ে ‘লেডি জাস্টিস’ ভাস্কর্যটি সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। ২০০৮ সালের ৩০ নবেম্বর রাতে রাজধানীর বলাকা ভবনের সামনের রাস্তায় ‘বলাকা’ ভাস্কর্যে হামলা চালায় ওলামা আঞ্জুমানে আল বাইন্যাত নামের উগ্রবাদী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। একই বছর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনের গোল চত্বরে ‘বাউল’ ভাস্কর্যে হামলা চালায় মৌলবাদী গোষ্ঠী। ২০১৩ সালের পাঁচ মে ঢাকা অবরোধ করে হেফাজতে ইসলাম দেশ থেকে সকল ভাস্কর্য ভেঙ্গে ফেলার আল্টিমেটাম দিয়েছিল সরকারকে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যের বিরোধিতায় মাঠে নেমেছে কয়েকটি মৌলবাদী সংগঠন। এদের বিরুদ্ধে এখনই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের তাগিদ দিয়েছেন বিশিষ্টজনরা। তারা বলছেন রাষ্ট্রের অস্তিত্ব বিপন্ন করার উদ্দেশ্য নিয়ে রাজনৈতিক মতলবে মেতে উঠেছে মৌলবাদীরা। এসবের নেপথ্যে রয়েছে জামায়াত, বিএনপি। এদের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা না নিলে বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের মূল ভিত্তিই নষ্ট হয়ে যাবে। সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার কোন স্থান হবে না। প্রধানমন্ত্রী নিজে সংসদে বলেছেন, বাংলাদেশ অসাম্পদায়িক ছিল এবং থাকবে। ভাস্কর্য নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সচিব ওয়াজেদ জয় এক অনুষ্ঠানে বলেন, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার কোন স্থান হবে না। এজন্য তিনি ভবিষ্যত প্রজন্মকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় উগ্রবাদীরা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগাতে চায়। নীরবে শক্তি সঞ্চয় করেছে মৌলবাদী গোষ্ঠী। তাদের নীরব বিপ্লবের থাবা এখন রাষ্ট্র ও সংবিধানে বিরুদ্ধে। রাষ্ট্রের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে মৌলবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে কোন অবস্থাতেই আপোস নয়। বিশে^র ইসলামী দেশগুলোতেও ইতিহাস ও ঐতিহ্যের স্মারক হিসেবে ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়। তাই অসাম্প্রদায়িকতার জায়গা থেকে মৌলবাদীদের দাবির মুখে ভাস্কর্য নির্মাণ থেকে কোন অবস্থাতেই সরে না আসার পরামর্শ তাদের।

কিভাবে এই বিরোধিতার প্রকাশ ॥ বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও খেলাফত যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মামুনুল হক প্রথম বঙ্গবন্ধুর নামে ভাস্কর্যের বিরোধিতা করেন। তিনি রাজধানীর ধোলাইরপাড়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করে সে কাজ অবিলম্বে বন্ধের দাবিও জানান। ঢাকার বিএমএ মিলনায়তনে খেলাফত যুব মজলিস ঢাকা মহানগরীর এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘ধোলাইখালে (ধোলাইরপাড়ে) বঙ্গবন্ধুর মূর্তি স্থাপন বঙ্গবন্ধুর আত্মার সঙ্গে গাদ্দারি করার শামিল। যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন করে তারা বঙ্গবন্ধুর সুসন্তান হতে পারে না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন মুসলিম হিসেবে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন। তার মূর্তি তৈরি করে রাস্তার মোড়ে মোড়ে স্থাপন, এটা বঙ্গবন্ধুর আত্মার সঙ্গে বেইমানি করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বারবার দেখতে পাচ্ছি, এই মসজিদের শহরের গৌরবময় পরিচয়কে মুছে দিয়ে এটাকে মূর্তির শহরে পরিণত করার অপপ্রয়াস চালানো হচ্ছে। এ দেশের তৌহিদী জনতা আবার শাপলা চত্বরে যাবে।’ শুধু তাই নয় করোনার মধ্যে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙ্গার দাবি নিয়ে বিরাট বড় সমাবেশ করে শক্তির জানান দিয়েছে উগ্রবাদীরা। গত সপ্তাহ থেকেই বিরোধিতার নতুন উন্মাদনায় মেতেছে দেশের কয়েকটি ধর্মীয় সংগঠন। তাদের দাবি, ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপনের কোন উদ্যোগ তারা সফল হতে দেবে না দেশে। ভাস্কর্যকে মূর্তি আখ্যা দিয়ে এর বিরোধিতা করে ডাকা সমাবেশে থেকে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যকে বুড়িগঙ্গায় ফেলে দেয়ার হুমকিও দেয় খেলাফত মজলিস।

এ ঘটনার পর থেকেই আবারও দেশের মুক্তবুদ্ধির চর্চার অসাম্প্রদায়িক মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। যার যার জায়গা থেকে চলছে প্রতিবাদ। ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, বঙ্গবন্ধুকে খলনায়ক হিসেবে জনগণের সামনে পরিচিত করার একটা ক্ষেত্র তৈরি করে দেয়া হয়েছে। ধর্মকে ব্যবহার করে ভাস্কর্য নির্মাণে বাধা দিয়ে পশ্চাৎগামী গোষ্ঠী গভীর ষড়যন্ত্রে নেমেছে। এসব ষড়যন্ত্রের পেছনে জামায়াত-বিএনপি প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত। গত সপ্তাহে মৌলবাদীরা এত বড় সমাবেশ কিভাবে করল এটি একটি বড় প্রশ্ন। তারা রাষ্ট্র ও সংবিধানের বিরুদ্ধে কথা বলছে। ইতিহাস ও সংস্কৃতি মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র করছে। শহীদ মিনার, স্মৃতিসৌধ ভাঙ্গার কথা বলছে। রাষ্ট্রের গায়ের কালিমা লেপন করছে। আমরা আর কতদিন এসব চেয়ে চেয়ে দেখব।

’৭১-এর পরাজিত শক্তি এখনও সক্রিয় এমন অভিযোগ করে শাহরিয়ার কবির বলেন, তারা রাজনীতির নামে একের পর এক অপকর্ম করে পার পাচ্ছে। ওয়াজের নামে সারাদেশে মৌলবাদী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। ভাস্কর্য, স্বাধীনতার স্থাপনা ভাঙ্গাসহ আমাদের ঐতিহ্য সংস্কৃতির ওপর আঘাত এনে ধারাবাহিকভাবে তারা অপকর্মে সফল হচ্ছে। এসব অরাজকতার মধ্য দিয়ে মৌলবাদী গোষ্ঠী দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়। রাষ্ট্রের অস্তিত্বকে বিপন্ন করে গোটা দক্ষিণ এশিয়াকে অস্থিতিশীল করা উগ্রবাদীদের লক্ষ্য।

সাম্প্রতিক সময়ের কথা। রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বনানীতে নৌবাহিনী সদর দফতরের সামনে স্থাপিত ‘অতলান্তিকে বসতি’ নামের নান্দনিক ভাস্কর্যটি রাতের অন্ধকারে ভেঙ্গে দিয়েছিল ধর্মান্ধ গোষ্ঠী। সিমেন্ট ও রড দিয়ে তৈরি নীলরঙা ভাস্কর্যটিতে সমুদ্রের নীল জলের আবহের পটভূমিতে সাঁতারের ভঙ্গিমায় ১৮টি ডলফিন, সোর্ড ফিশ ও হাঙ্গর রয়েছে। অথচ মুসলিম দেশ সৌদি আরব, ইন্দোনেশিয়া মতো জায়গায় ভাস্কর্যের ব্যবহার অনেক পুরনো।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক মেসবাহ কামাল বলেন, এরা দেশে আরেকবার পাকিস্তানকে পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথে ধাবিত করতে চায়। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরোধিতা করা হয়। তখন এর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিকভাবে মাঠে নামা উচিত। ধর্মের নামে যখন ভাস্কর্য নিয়ে কথা বলা হয়। তখন ধর্মের নাম নিয়ে রাজনীতির হাতিয়ার ব্যবহারের চেষ্টা হয়। জাতির পিতাকে অবমাননার এমন ঘটনায় কী ভাবছে আওয়ামী লীগকে আরও কঠোর মনোভাব দেখাতে হবে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ধর্ম ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে কোন কর্মসূচীর প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয় না। এদের সঙ্গে কোন আপোস নেই। কোন সমঝোতার প্রয়োজন নেই। অতীতে যেভাবে মোকাবেলা করা হয়েছে, ভবিষ্যতে একইভাবে করা হবে। দেশের সফলতা ও সক্ষমতায় ঈর্ষান্বিত গোষ্ঠী, ধর্মীয় সংগঠনগুলোকে কাজে লাগিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইলেও তা রুখে দেয়ার সব প্রস্তুতি রয়েছে বলেও জানান তিনি।

১৪ দলের অন্যতম শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ এক বিবৃতিতে বলেছে, সুপ্রীমকোর্টের সামনে স্থাপিত ভাস্কর্য স্থানান্তরিত করার মধ্য দিয়ে ধর্ম ব্যবসায়ীদের আশকারা দেয়ার ফলেই আজ এই অপশক্তি বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করার দুঃসাহস দেখাতে পারছে। এ ধরনের দলগুলোকে আর এক চুলও ছাড় না দিতে আওয়ামী লীগের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দলটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আর এক চুল ছাড় না দিয়ে পাকিস্তানপন্থী ধর্ম ব্যবসায়ী, ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল, সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী জঙ্গীবাদী ভাস্কর্য বিরোধীদের কঠোরভাবে দমন করার জন্য সরকারের প্রতি এবং এই অপশক্তির বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সোচ্চার হবার আহ্বান জানাই।’

জাসদ বলছে, ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে অবস্থান আসলে বাংলাদেশ ও বাঙালীর ইতিহাস-ঐতিহ্যের বিরুদ্ধেই অবস্থান এবং যারা এই দাবি তুলেছে, তারা স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধুর নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে চায়।

১৪ দলীয় জোট শরিক দল তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাউজভান্ডারীও খেলাফত নেতা মামুনুর হকের এই বক্তব্যের বিরোধিতা করে বলেন, ‘মানুনুল হকদের কথায় ভাস্কর্য করা বন্ধ থাকলে ক’দিন পর বলবে, এই দেশে হিন্দু-বৌদ্ধসহ অন্য ধর্মাবলম্বীরাও থাকতে পারবে না। মাজারভিত্তিক এই নেতা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি হিসেবে ভাস্কর্য থাকতেই পারে। পৃথিবীর বহু ইসলামী রাষ্ট্রে এমন আছে। এখানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য হলে ইমান আমল যাওয়ার কিছু নাই।

২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকা অবরোধ ও শাপলা চত্বরে অবস্থান নেয়ার দিন ধর্মভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম যে ১৩ দফা দিয়েছিল, তার একটি ছিল সব ভাস্কর্য ভেঙ্গে ফেলতে হবে। পরে সুপ্রীমকোর্টের সামনে থেকে জাস্টিস লেডির ভাস্কর্য সরিয়ে নেয়া হয় হেফাজতের আন্দোলনের কারণে। তবে ধর্মভিত্তিক দলগুলো কখনও বঙ্গবন্ধু বা মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য নিয়ে প্রকাশ্যে বিরোধিতা করেনি, যেটা এবার করছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যে ভাঙতে এলে তাদের হাত ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি এ্যাডভোকেট মশিউর মালেক। শুক্রবার এক মানববন্ধনে তিনি এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। অপর সমাবেশে ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতাকারীরা কখনই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী এহেন বক্তব্যের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সংবিধান লঙ্ঘন করে জাতির পিতাকে অবমাননা করা হয়েছে। এদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

ভাস্কর শিল্পী রাশা বলেন, সৌদি আরব, ইরানসহ বিশ্বের সব মুসলিম দেশে ভাস্কর্য রয়েছে। জাতির পিতার ভাস্কর্য অপসারণের দাবি যারা তুলেছে, সেই মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত পদক্ষেপ না নিলে আমরা দেশ ও জাতির ‘সমূহ বিপর্যয়ের’ আশঙ্কা প্রকাশ করছি। আমরা গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে মুজিববর্ষ উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপনে বাধা প্রদান এবং স্থাপিত ভাস্কর্য ভেঙ্গে ফেলার ভয়ঙ্কর হুমকি দিয়েছে চিহ্নিত স্বাধীনতাবিরোধী, মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তি।

কেন্দ্রীয় খেলাঘরের সভাপতিমণ্ডলীর চেয়ারম্যান অধ্যাপিকা পান্না কায়সার বলেন, মৌলবাদী, ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর সঙ্গে কোন আপোস নয়। তাদের বিরুদ্ধে সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে। নইলে সামনের দিনগুলোতে তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, অসাম্প্রদায়িকতা, ভাস্কর্য, সকল ধর্মের মানুষের মিলেমিশে বসবাস সবকিছুতেই হাত দিবে। শিক্ষাকে নিজেদের মতো করে একটি উগ্রবাদী সমাজ প্রতিষ্ঠার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করবে। তাদের ঠেকাতে সরকারের পাশাপাশি রাজনৈতিক দল ও সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। মাহবুব উদ্দন আহমদ বীর বিক্রম বলেন, বাংলাদেশ মানেই বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, মানেই বঙ্গবন্ধু। তাই বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে কসবাস করে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিস্বরূপ মোড়াল স্থাপনে যারা বিরোধিতা করছে তাদের এই বাংলার জনে স্থান হবে না।

আরও দেখুন

সভাপতি আব্দুল আলীম,সম্পাদক ফারুক হোসেন

রাণীনগরে জাতীয়তাবাদী প্রবাসী ঐক্য পরিষদের  কাউন্সিল অনুষ্ঠিত নিজস্ব প্রতিবেদক রাণীনগর,,,,,,,,,,,,,,,জাতীয়তাবাদী প্রবাসী ঐক্য পরিষদের  নওগাঁর রাণীনগর …