শংকর বালা কৃষাণ দিক্ষিত এর মতে, এ অঞ্চলে পঞ্জিকা সৃষ্টির তিনটি যুগ আছে। আকবরের(১৫৪২-১৬০৫) আগেই এ অঞ্চলে প্রত্যক জনগোষ্ঠীর নিজের পঞ্জিকা ছিল। ঐতিহাসিকদের মতে, তার সংখ্যা প্রায় ৪০ টির মত। আকবর নিজে বাঙালি ছিলেন না, বাংলা জানতেনও না। তিনি অধুনা হিন্দি/ উর্দু বলয়ে (সাবেক আর্যবর্তের) প্রচলিত পঞ্জিকার সংস্কার করেন, তার রাজস্ব আদায়ের সুবিধার জন্য। এটাই কালে কালে বঙ্গাব্দে রুপ নেয়। গীতায় কৃষ্ণ বলেছেন, আমি মাসের ভিতর অগ্রহায়ণ! “অগ্র”মানে আগে “হায়ন” মানে মাস। আগে এ মাস কে বছরের প্রথম মাস ধরা হত! আবার গৌড়াধিপতি শশান্কের নামে “শশান্কব্দ” নামে একটি পঞ্জিকা এ অঞ্চলে চালু ছিল! সেখানে বার -মাসের কোন কথা ছিল না! তা তীথি আর নক্ষত্র ধরে চলতো। খনার বচনে একথার মিল পাওয়া যায়, “কিসের তীথি কিসের মাস! জন্ম নক্ষত্র কর সার।” আবার সপ্তদশ শতকে বাংলায় গৌরাঙ্গাব্দ নামে আরেক সনের জন্ম ঘটে, মহাবিষ্ণুর প্রধান বার নামে, সে সনের সব মাসের নাম। অন্যদিকে অসমের সাথে বাংলার অনেক মিল। তাই অনেক ঐতিহাসিক মনে করেন, বহুকাল আগে আজকের বাংলাদেশে ” ভাস্কারাব্দ ” বিক্ষিপ্ত ভাবে অনেক জায়গায় চালু ছিল। যা আজও অসমের অসমিয়া পালন করে। শুভ বহাগ বিহু। শুভ নববর্ষ!
আরও দেখুন
কবি নাজনীন নাহার এর কবিতা “আমি মানুষ’’
আমি মানুষ! নাজনীন নাহারআমি মানুষ!হ্যাঁ আমি মানুষ।আমি অমানুষের করি নাশ,মানচিত্র থেকে মুছে দেবো আমি অমানুষদের …