নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভাসান চর যেতে ইতিমধ্যে ক্যাম্প ছেড়েছে শত শত রোহিঙ্গা পরিবার। এরা উখিয়ার কুতুপালং প্রত্যাবাসন সেন্টারে অবস্থান নিচ্ছে। বুধবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে টেকনাফ ও উখিয়া ক্যাম্প হতে শত শত রোহিঙ্গা পরিবার স্বইচ্ছায় ক্যাম্প ছেড়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে গোটা প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে সরকার কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা এগোচ্ছে বলে মনে করছেন কেউ কেউ।
খোঁজ নিয়ে যায়, টেকনাফের শামলাপুর ২৩ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিভিন্ন ব্লক থেকে ভাসান চরের উদ্দেশ্যে প্রথম ধাপে ৫ পরিবারের ২৭জন নারী-পুরুষ শিশুসহ রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্প ছেড়েছে। এখানে নিয়ে যাওয়া হবে মোট ২২ পরিবার।
বুধবার (২রা ডিসেম্বর) বিকাল ৪টার দিকে ক্যাম্প ক্লোজ করে সিআইসি অফিসের সামনে মেরিনড্রাইভ থেকে দুটি মিনিবাস করে প্রয়োজনীয় মালামালসহ কুতুপালংয়ের ট্রানজিটের উদ্দেশ্যে চলে যায় সৈয়দ আলম, নূর মোহাম্মদ, আব্দু শুক্কুর, জুহুরা খাতুন ও সেতারা বেগমের পরিবারের ২৭ জন । এভাবে টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্প হতে শত শত রোহিঙ্গা পরিবার ভাসান চরে যাওয়ার জন্য ক্যাম্প ছেড়েছে। তারা বর্তমানে কক্সবাজারের উখিয়া কুতুপালং প্রত্যাবাসন সেন্টারে অবস্থান করছে। সেখান থেকে বাসযোগে চট্টগ্রামের নেভাল ঘাটে নিয়ে যাওয়া হবে। তারপর ভাসান চরের উদ্দেশ্যে রওনা হবে তারা এমনটি জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রোহিঙ্গা কমিউনিটির এক নেতা । এভাবেই ধাপে ধাপে বাকি নির্বাচিত রোহিঙ্গারা পযার্য়ক্রমে ক্যাম্প ছেড়ে চলে যাবে।
২৩ নং ক্যাম্পের মাঝি আবুল হাশেম বলেন,” ভাসান চরে যাওয়ার জন্য কাউকে জোর করা হয়নি। বাধাও দেয়নি কেউ। তারা নিজের ইচ্ছায় যাচ্ছে। এ নিয়ে ক্যাম্পে কোন ধরনের হৈচৈ নেই, শান্ত রয়েছে ক্যাম্প। ‘
এসময় ২৩ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জ (সিআইসি) অফিস হল রোমে ক্যাম্প ইনচার্জ নাওশার বিন হালিম বলেন , “ভাসান চরে যাওয়ার জন্য তালিকা ভুক্ত প্রথমধাপে ক্যাম্প ত্যাগ করার জন্য আসা রোহিঙ্গাদের ভাসান চরে যেতে কোন প্রকার জোর করা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে উপস্থিত ৫ পরিবারের রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ সদস্যরা সদিচ্ছায় যাচ্ছে বলে মত প্রকাশ করেন। এ ছাড়া তাদের কেহ প্রলুব্ধ বা জোর করা হয়নি তাও নিশ্চিত করা হয়েছে।”
এদিকে ভাসানচর যেতে আগ্রহী রোহিঙ্গা পরিবার গুলোকে কখন কি ভাবে নিয়ে যাওয়া হবে সে বিষয়ে কথা বলছেনা সংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে শরনার্থী প্রত্যাবাসন ও ত্রান কমিশনার (আরআরআরসি) অফিসিয়াল মোবাইলে সংয়োগ স্থাপন করার চেষ্টা করা হলেও মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে বৃহস্পতিবার সকালে কক্সবাজার থেকে ভাসানচরের উদ্দেশ্যে কয়েক শত রোহিঙ্গা পরিবারকে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া চুড়ান্ত করেছে সরকার।