নিউজ ডেস্ক:
দেশের বাজারে সরবরাহ কম এবং দাম বেড়ে যাওয়ায় আবারও ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। তিন-চারদিনে প্রায় পাঁচ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির ‘অনুমতিপত্র’ নিয়েছেন হিলির আমদানিকারকরা। এতে আসন্ন রমজানে পেঁয়াজের দাম বাড়বে না বলে দাবি করছেন ব্যবসায়ীরা।
শনিবার বিকেলে হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ জানান, ‘দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে এবং কৃষকদের চাষাবাদে উৎসাহিত করতে গত বছরের ডিসেম্বরে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি (আইপি) বন্ধ করে দেয় সরকার। এ সময় বাজারে দেশী মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ ভাল থাকায় দাম কমতির দিকে ছিল। ফলে পেঁয়াজ আমদানি কমিয়ে দেন আমদানিকারকরা। এ দিকে, মাঘের বৃষ্টিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পেঁয়াজের ক্ষেত নষ্ট হয়ে উৎপাদন ব্যাহত হয়। এতে বাজারে দেশী পেঁয়াজের সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম উর্ধমুখী হতে থাকে। ফলে দেশে এ নিত্যপণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আগের পাওয়া অনুমতিপত্রের মাধ্যমে আবারও বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি বাড়িয়েছেন আমদানিকারকরা। ফলে বাজারে পেঁয়াজের দাম অনেকটাই কমে এসেছে। আমদানির এই ধারা অব্যাহত থাকলে রমজানে দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই।’ তিনি আরও জানান, ‘সম্প্রতি নতুন করে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়া শুরু করেছে সরকার। এর মেয়াদ আগামী ২৯ মার্চ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। সেই সঙ্গে পুরনো যে সব আইপি নেয়া ছিল, সেগুলোর মেয়াদ একই সময় পর্যন্ত নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। এতে নির্ধারিত তারিখের পরে কি হবে, সেটি বলা যাচ্ছে না। মেয়াদ বাড়ানো না হলে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি যেমন বন্ধ হয়ে যাবে, তেমনি দাম বাড়ারও আশঙ্কাও রয়েছে।’
হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী ইউসুফ আলী জানান, সম্প্রতি দেশের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কম ও দাম উর্ধমুখী হওয়ায় আবারও আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে। তিন-চারদিন ধরে নতুন করে অনুমতিপত্র দেয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এতে করে পাঁচ হাজার টনের মতো পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্র নিয়েছেন হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা। আরও অনুমতিপত্র নেয়া অব্যাহত রয়েছে।’