নিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০ জন সিভিল সার্ভেন্ট বা আমলা আবারও ভারতে প্রশিক্ষণ নিতে যাবেন। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভেন্টদের জন্য ‘ক্যাপাসিটি বিল্ডিং প্রোগ্রাম’-এর আওতায় তারা ২০২৫ সালের মধ্যে প্রতিবেশী দেশটিতে যাবেন। এটি ৫৩তম ব্যাচ, প্রশিক্ষণ হবে দুই সপ্তাহব্যাপী। গত মঙ্গলবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে মিলে দেশটির মুসৌরি শহরে ন্যাশনাল সেন্টার অব গুড গভর্ন্যান্স (এনসিজিজি) এ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এই মুসৌরি শহরেই ভারতের ভবিষ্যৎ আমলাদের (ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস-আইএএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ) প্রশিক্ষণ দেয়া হয়ে থাকে। এনসিজিজি একটি সশাসিত সংস্থা যেটি ভারত সরকারের প্রশাসনিক সংস্কার মন্ত্রণালয়ের অধীনে কাজ করে থাকে।
হিন্দুস্তান টাইমস ভারতের কর্মচারী, গণঅভিযোগ ও পেনশন মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতির বরাতে জানিয়েছে, ‘২০১৯ সালের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের ১ হাজার ৫০০ জন সিভিল সার্ভেন্টকে এনসিজিজিতে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছিল। প্রথম পর্যায় শেষ হওয়ার পর, এখন আরো ১ হাজার ৮০০ জন সিভিল সার্ভেন্ট-এর ক্যাপাসিটি বিল্ডিং-এর কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে, যেটি ২০২৫ সালের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে।’
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে ২০১৯ সালের ফেব্রæয়ারিতে স্বাক্ষরিত মেমোরান্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং (এমওইউ) অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে সিভিল সার্ভেন্ট বা আমলারা তাদের ক্যারিয়ারের মাঝপথে প্রশিক্ষণ নিতে ভারতে যাবেন বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। দিল্লিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন এবং ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের নেতৃত্বে পঞ্চম যৌথ কনসাল্টেটিভ কমিশনের (জেসিসি) বৈঠকে ওই এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়েছিল।
হিন্দুস্তান টাইমসে বলা হয়, এনসিজিজি ভারতের একমাত্র প্রতিষ্ঠান যেটি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ১ হাজার ৭২৭ জন মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা যেমনÑ সহকারী কমিশনার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)/এসডিএম এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এটি বাংলাদেশের তৎকালীন কর্মরত জেলা প্রশাসকদেরও প্রশিক্ষণ দিয়েছিল।