গত ৫ নভেম্বর বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। উদ্বোধন করা হয়েছে তিনটি যৌথ প্রকল্প। গত ৫ অক্টোবর নয়াদিল্লীর হায়দ্রাবাদ হাউসে বৈঠকে বসেন শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি। এরপর সেখানে তাদের উপস্থিতিতেই সাত চুক্তি সই হয়।
ওই সাতটি চুক্তির মধ্যে একটি হলো- বাংলাদেশকে দেওয়া ভারতের ঋণের প্রকল্প বাস্তবায়নে চুক্তি। অর্থনীতি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সই করা চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে বাংলাদেশ নানাভাবে উপকৃত হবে।
তারা বলছেন, ভারতের ঋণের প্রকল্প বাস্তবায়নের চুক্তির ইতিবাচক দিক হলো ঋণ ছাড়ে সম্ভাব্য গতিশীলতা। ঋণ চুক্তির আওতায় ভারত ৭৩৬ কোটি ২০ লাখ ডলার প্রদানে চুক্তিবদ্ধ হলেও ছাড় করা হয়েছে মাত্র ৫৬ কোটি ৮৮ লাখ ডলার। বাংলাদেশে সরকার এ অর্থের সহযোগিতায় ৪৭টি প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি তরান্বিত করতেই উক্ত ঋণচুক্তি গুলো করা হয়েছে। উক্ত ঋণ প্রকল্প বাস্তবায়নের চুক্তি করার ফলে ভারতীয় ‘লাইন অফ ক্রেডিট’- এর আওতায় প্রতিশ্রুত অর্থ ছাড়ে গতি আসবে।
সূত্র বলছে, প্রতিটি চুক্তিতেই নানা দিক থেকে বাংলাদেশ লাভবান হবে। সমুদ্র উপকূলে নজরদারি (কোস্টাল সারভেইলেন্স সিস্টেম-সিএসএস) বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক, ভারতের পণ্য পরিবহনে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারবিষয়ক চুক্তি সম্পর্কিত একটি এসওপি (স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর) স্বাক্ষর এবং ত্রিপুরায় সাবরুম শহরে পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পে ফেনী নদী থেকে থেকে ১ দশমিক ৮২ কিউসেক পানি প্রত্যাহার বিষয়ে বাংলাদেশের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং ভারতের জলশক্তি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
এছাড়া চুক্তি হয়- ভারত থেকে নেয়া ঋণের প্রকল্প বাস্তবায়নের (এলওসি) বিষয়ে, হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি সমঝোতা স্মারক, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচি বিষয়ে চুক্তি নবায়ন এবং যুব উন্নয়নে বাংলাদেশের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং ভারতের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।