নিউজ ডেস্ক:
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন আইটেক অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএএবি)-এর সঙ্গে ইন্ডিয়ান টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন (আইটেক) দিবস উদ্যাপন করেছে। এই উপলক্ষ্যে ৭ নভেম্বর একটি সংবর্ধনা ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন তারা। অনুষ্ঠানটির আয়োজক ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মাননীয় ভারতীয় হাই কমিশনার শ্রী প্রণয় ভার্মা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষিমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, এমপি। অনুষ্ঠানে হাই কমিশনার মি. ভার্মা তুলে ধরেন যে, ভারতের ঘনিষ্ঠ উন্নয়ন সহযোগীসমূহের একটি হিসেবে আইটেক কর্মসূচিতে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। তিনি উল্লেখ করেন, সুবর্ণ জয়ন্তী স্কলারশিপের অধীনে প্রতি বছর আইটেক-এ বাংলাদেশের জন্য নিবেদিত ৫০০টি স্লট রয়েছে, এবং সরকারি কর্মচারী ও বেসরকারি এন্টারপ্রাইজসমূহের জন্য বেশ কিছু চাহিদাভিত্তিক কর্মসূচি আছে যা বাংলাদেশ সরকারের প্রয়োজন অনুযায়ী সাজানো হয়ে থাকে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের আইটেক অ্যালামনাইগণ ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বের দৃঢ় বন্ধনকে প্রদর্শন করে। বিশিষ্ট অতিথিবৃন্দ ছাড়াও সর্বস্তরের প্রায় ১৮০ জন আইটেক অ্যালামনাই এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। কয়েকজন বিশিষ্ট আইটেক অ্যালামনাই তাদের প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতা অংশগ্রহণকারীদের সামনে তুলে ধরেন। একটি ছোট সাংস্কৃতিক আয়োজনের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে। ভারত সরকারের ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম আইটেক ভারতের উন্নয়ন সহায়ক কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
এটি বিশ্বের ১৬০টিরও বেশি দেশে ভারতের উন্নয়ন অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সুবিধা প্রদান করছে। প্রতি বছর, কৃষি, হিসাব, নিরীক্ষা, সুশাসন অনুশীলন, ব্যবস্থাপনা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, গ্রামীণ উন্নয়ন, জনস্বাস্থ্য, সংসদীয় বিষয়, বিচার বিভাগ, নির্বাচন ব্যবস্থাপনা, আইটি, ডেটা অ্যানালিটিক্স, রিমোট সেন্সিং, নবায়নযোগ্য শক্তি ইত্যাদির মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রথম সারির ভারতীয় প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ কোর্সের জন্য আইটেক অংশীদার দেশসমূহকে ১০,০০০-এরও বেশি প্রশিক্ষণ স্লট দেওয়া হয়।
এখন পর্যন্ত, ৫,০০০-এরও বেশি তরুণ বাংলাদেশি প্রফেশনালগণ আইটেক কর্মসূচিসমূহের অধীনে ভারতে এই ধরনের কোর্স করেছেন। আইটেক সহযোগিতার অধীনে বাংলাদেশ ভারতের অন্যতম মূল্যবান অংশীদার। ২০২০-২১ সালে কোভিড অতিমারি পরবর্তী সময়ে, বিশেষ ই-আইটেক-এর অধীনে ভার্চুয়ালভাবে বেশ কিছু কোর্সের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। আইটেক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রতিভাবান ব্যক্তিবর্গের সামনে সেরা ভারতীয় অনুশীলনসমূহ তুলে সুযোগ প্রদান করে। ফলস্বরূপ, বিশেষত কৃষি, অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন খাতে অসাধারণ অগ্রগতি সাধনকারী বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভারত সমানভাবে লাভবান হয়েছে।