ভাঙা সেতু নিয়ে চরম ভোগান্তিতে লাকাবাসী

নিজস্ব প্রতিবেদক:নাটোরের বড়াইগ্রামে বড়াল নদীর উপর নির্মিত একটি সেতু এক বছর আগে ধষে যাওয়ার কারণে ভোগান্তিতে পড়েছে শত শত শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী। বছর পেরিয়ে গেলেও সেতুটির নির্মানের উদ্দ্যোগ নেওয়া হয়নি। সেই সময় পৌর মেয়র চলাচলের জন্য কাঠ দিয়ে সেতুটি সংস্কার করে দিলেও কয়েকদিন আগে ধষে যায়। ফলে প্রতিদিন হাজার মানুষকে ঝুঁকি নিয়ে সেতুটি দিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে। বড়াইগ্রাম সরকারি অর্নাস কলেজের প্রভাষক তিতু বলেন, উপজেলার পৌর এলাকার লক্ষীকোল-কয়েন আঞ্চলিক সড়কের চক-বড়াইগ্রাম এলাকার আক্তার হোসেনের বাড়ি সংলগ্ন বড়াল নদীর ওপর প্রায় এক বছর পূর্বে সেতু ধসে যায়। বন্ধ হয়ে যায় এই সেতু দিয়ে নগর ইউনিয়নের ও পৌর এলাকায় কয়েক হাজার মানুষের চলাচল। বড়াইগ্রাম পৌর মেয়র মাজেদুল বারি নয়ন নিজ উদ্দ্যেগে কাঠ দিয়ে সেতুটি সংস্কার করে মানুষ চলাচল করা উপযোগী করে দেন। কিন্তু কয়েক দিন আগে বড়াল নদীতে আবার পানি প্রবেশ করলে সেই কাঠের সেতুটি ধ্বসে যায়। ফলে আবারও যাতায়াত বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বিপাকে পরেছে কয়েক হাজার মানুষ। আক্তার হোসেন বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, থানা, পৌর সেবা গ্রহন করতে মানুষকে ২০ কিলোমিটার ঘুরে আসতে হচ্ছে। বড়াইগ্রাম পাইলট, গালস্ উচ্চ বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করতে পারছে না। বড়াইগ্রাম পৌরসভার মেয়র মাজেদুল বারি নয়ন বলেন, মানুষের পায়ে চলাচল করার জন্য আবারও সেতুটি সংস্কার করার প্রস্তুতি চলছে। সেতুটি নতুন করে নির্মাণ করার জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগকে (এলজিইডি) বারবার জানানো হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগকে (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, সেতুটি নির্মানের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আশা করছি আগামী দুই তিন মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ শুরু হবে। নাটোর-৪ আসনের সাংসদ ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, আমার স্পেশাল বরাদ্দ থেকে সেতু দিয়ে চলাচল করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, এই সেতুটি বড়ালনদীর উপরে নির্মাণ করতে হবে। কিছুটা জটিলতা রয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের সাথে কথা হয়েছে প্রায় ৯ কোটি টাকা ব্যায় নির্মাণ করা হবে। যা বড়াল নদী খনন করার সময় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে না।