আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কেউ যেন দেশের জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে- সেটাই আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য।
সোমবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সভায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। কারণ এই দেশটা জাতির পিতা স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন দুখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে। এ দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ যেন ছিনিমিনি খেলতে না পারে- এটাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। বাংলাদেশের মানুষ অনেক কষ্ট করেছে। আর ভবিষ্যতে তাদের কষ্ট করতে হবে না, সবাই যেন সুন্দর একটা জীবন পায়, উন্নত জীবন পায়, সমৃদ্ধশালী জীবন পায়- সেটাই আমার একমাত্র লক্ষ্য; সেটাই করতে চাই।
সভায় আওয়ামী লীগকে আরও শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আমাদের সম্মেলন হয়ে গেছে। আবার নতুন করে আমরা কমিটি করেছি। নিয়ম অনুযায়ী গঠনতন্ত্র মোতাবেক আমরা আমাদের সদস্যদের নির্বাচিত করব। এই সংগঠনটাই আমাদের বড় শক্তি এটাও মাথায় রাখতে হবে। সংগঠন যদি শক্তিশালী থাকে, আর মানুষের আস্থা বিশ্বাস যদি অর্জন করতে পারি তাহলে সরকার চালানো এবং দেশের উন্নয়ন করা কঠিন কাজ হয় না; এটা হলো বাস্তবতা। সে বাস্তবতা নিয়েই আমরা কাজ করে যাব, ইনশাআল্লাহ।
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যের কথা পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইনশাআল্লাহ। আমাদের যে লক্ষ্য ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ- সেটা কিভাবে করব, কি কি ক্ষেত্রে করব সেটা আমি আগেও বলেছি। … অর্থাৎ আমাদের পুরো জনগোষ্ঠী হবে স্মার্ট, সেটাই আমরা করতে চাই। বাংলাদেশ সবসময় এগিয়ে থাকবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছি, স্যাটেলাইট যুগে পদার্পণ করেছি। আগামী ২৮ তারিখ মেট্রোরেল (উদ্বোধন), এটা কিন্তু ইলেকট্রিক ট্রেন। এটাও কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে হতো না। আজকে কর্ণফুলী নদীর নিচে টানেল, সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে পদ্মা সেতু, যেটা নিয়ে আমাদের বিরাট একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। সেই চ্যালেঞ্জ আমরা নিয়েছিলাম এবং নিজেদের টাকায় করব সেই ঘোষণা দিয়েছিলাম। নিজেদের টাকায় আমরা পদ্মা সেতু করেছি। কারো কোনো টাকা আমরা নেইনি, সেই সক্ষমতা আমরা অর্জন করেছি।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে বলেন, এই ধাক্কাগুলো যদি না আসত আন্তর্জাতিক পর্যায়ে, তাহলে আজকের বাংলাদেশ আমরা আরও অনেক দূরে এগিয়ে নিতে পারতাম।