নিজস্ব প্রতিবেদক, বড়াইগ্রাম:
নাটোরের বড়াইগ্রামে সুদের টাকা নিয়ে দ্বন্দে ইয়াছিন প্রামানিক (৪৭) ও রয়েল হোসেন (২২) দুই ব্যাক্তি আহত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সারে ১০টার দিকে উপজেলা নগর ইউনিয়নের পার গোপালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ইয়াছিন প্রামানিকের ছেলে বাদল প্রামানিক বাদী হয়ে বড়াইগ্রাম থানায় ছিনতাইয়ের মামলা করেছে। রয়েলের বাবা জিয়াকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আহত ইয়াছিন পার-গোপালপুর প্রামের মৃত তাছের প্রামানিকের ছেলে ও রয়েল হোসেন একই গ্রামের জিয়া মন্ডলের ছেলে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ইয়াছিন প্রামানিক ও তার ছেলে বাদল প্রামানিক দীর্ঘদিন যাবত সুদের টাকার কারবার করে আসছে। বাদল প্রামানিকের নিকট থেকে ৫ হাজার টাকা সুদে নেয় রয়েল। সময়মত সুদের লভ্যাংশ সহ এক হাজার টাকা পরিশোধ করতে ব্যার্থ হওয়ায় মঙ্গলবার সকালে ইয়াছিন, তার দুই ছেলে বাদল ও কাউসার গ্রামের সেলিমের দোকানের সামনে রয়েলকে মারপিট করতে থাকে। খবর পেয়ে জিয়া ছেলেকে উদ্ধার করতে গেলে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে বাশের লাঠির আঘাতে ইয়াছিনের মাথায় কেটে যায়। স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আহত অবস্থায় ইয়াছিন ও রয়েলকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
ইয়াছিন বলেন, আমি ৮৫ হাজার টাকা নিয়ে পাবনা জেলা ইশ্বরদী উপজেলার অরনখোলার হাটে গরু কিনতে যাচ্ছিলাম। পথে আমার নিকট থেকে ওমর আলীর নির্দেশে তার ছেলে জিয়া, জুয়েল, জেকের, পিয়ার আলী, নাতি রয়েল আমার টাকা ছিনতাই করে নেয়।
দোকারদার সেলিম হোসেন, মঙ্গলবার সারে ১০ টার দিকে আমি দোকানে বসে ছিলাম। বাদল রয়েলকে ডেকে নিয়ে আসে। রয়েল এক হাজার টাকা পরিশোধ করতে ব্যার্থ হলে মারপিট করতে থাকে। তার বাবা জিয়া তাকে উদ্ধার করতে গেলে মারামারির ঘটনা ঘটে।
তিনি আরো বলেন, সিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেনি। এটি মিথ্যা কথা। মারামারি সময় বাঁশের লাঠির আঘাতে ইয়াসিনের মাথা কেটে যায়।
ওমর আলী বলেন, ইয়াছিনসহ তার পরিবার দীর্ঘ দিন যাবত সুদের কারবার করে আসছে। আমার নাতি তাদের নিকট থেকে সুদে টাকা নিয়ে ছিল। এক হাজার টাকা পরিশোধে ব্যার্থ হওয়ায় আমার নাতিকে মারপিট করে আহত করেছে। আমরা মামলার প্রস্তুতি গ্রহণ করছি।
বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মারামারির ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।