নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের বড়াইগ্রামে রয়না ভরট বটতলা থেকে খামখামার গ্রাম অভিমুখি রাস্তা ১ হাজার ৬শত মিটার রাস্তা নির্মাণ করা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিএডি)। অভিযোগ উঠেছে, সড়ক নির্মানে খুবই নিম্নমানের ইট-বালু-খোয়ার ব্যবহার করছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার।
উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের রয়না ভরট বটতলা থেকে খাসখামার গ্রাম অভিমুখে এক হাজার ৬শত মিটার রাস্তা নির্মানে দরপত্র আহŸান করা হয়। এক কোটি ৪০ লক্ষ তিন হাজার একশত ৮৯ টাকায় রাস্তাটি নির্মানে দরপত্র প্রায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আরকেআর ট্রের্ডার্স। এই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হলেন উপজেলা বনপাড়া পৌর এলাকার আব্দুর রহিম মোল্লা।
স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, বেশ কিছুদিন আগে রাস্তা নির্মানের কাজ শুরু করে ঠিকাদার। রাস্তায় যে বালির ব্যবহার করা হয়েছে তা পাশের একটি পুকুর থেকে উত্তোলন করা। নিম্ম মানের ইট ও খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে। স্থানীয় জনগণ বাধা দিয়ে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরকে জানালে নতুন করে খোয়া দেওয়া হয়। কিন্তু পুর্বের নিম্ম মানের খোয়া পরিবর্তন না করেই নতুন খোয়ার সাথে মিশ্রন করা হয়।
মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, রয়না ভরট বটতলার পাশে একটি জায়গাতে ইট ও বালির স্তুপ করে রাখা হয়েছে। সেখানে মেশির দ্বারা খোয়া ও বালির মিশ্রন করা হচ্ছে। মিশ্রিত খোয়া ও বালি কয়েকটি ড্রাম ট্রাকে করে রাস্তায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। স্থানীয় ব্যাক্তিরা জানান, গত শনিবার নিম্ম মানের খোয়া ও বালির মিশ্রন করে রাস্তা দেওয়া হচ্ছিল। বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলীকে জানানোর পরও সারাদিন রাস্তায় খোয়া ও বালি দেওয়া হয়। পরে কাজ বন্ধ থাকে। আগের নিম্ম মানের খোয়ার সাথে নতুন করে ভাল খোয়ার মিশ্রন করে মঙ্গলবার থেকে আবারও রাস্তায় দেওয়া হয়।
বড়াইগ্রাম সরকারী অনার্স কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞাণ বিভাগের বিভাগীয় প্রধাণ (অবসর) আাব্দুল মতিন বলেন, প্রকাশ্যে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে অথচ এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এ থেকে ধারনা করা যায় কর্তৃপক্ষের সাথে যোগ সাযস্যে এই ধরনের কাজ করা হচ্ছে।
জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুর রহিম মোল্লা বলেন, কিছু খোয়া ভাটাকে দিতে বলা দেওয়া হয়েছে, হয়তো সেগুলোতে সমস্যা হতে পারে। তবে এটা জানা নেই। জেনে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’বিষয়টি স্বীকার করে উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, স্থানীয়দের অভিযোগ পাওয়ার পর রাস্তা পরিদর্শন করে ঠিকাদারকে পরিবর্তন করে দিতে বলা হয়েছে। আগের খোয়ার সাথে মিশ্রন করার জানা ছিল না। ঠিকাদারকে ডেকে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এলজিডির জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউর রহমান বলেন, ‘নিম্নমানের ইট ও খোয়া ব্যবহারের বিষয়টি জানার পর পরিবর্তন করে দেওয়ার জন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে বলেছিলাম। তার পরেও এই ধরনের কাজ হয়েছে। ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।