নিজস্ব প্রতিবেদক, বড়াইগ্রামঃ
নাটোরের বড়াইগ্রামে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিজ বাড়ি সংলগ্ন অপর স্কুলের জমি থেকে তিনটি মেহগণি ও আমের গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার তিনি গাছগুলো সরিয়ে নিয়ে বিক্রি করে দেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, উপজেলার বড়দেহা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের পশ্চিম অংশে একটি আমগাছ ও দুটি মেহগণি গাছ ছিল। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দা ও পাশের কুরশাইট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা গত মঙ্গলবার গাছগুলো শ্রমিক লাগিয়ে কেটে ফেলেন। পরে স্থানীয়দের আপত্তির কারণে সেগুলো মাঠে ফেলে রাখলেও শুক্রবার ব্যাপারী ডেকে গাছগুলো বিক্রি করে দেন। এভাবে বিদ্যালয়ের সীমানার গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে বড়দেহা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেক জানান, গাছগুলো আমাদের স্কুলের সীমানার মধ্যেই ছিল। কিন্তু তিনি আমাদের আপত্তি উপেক্ষা করে সেগুলো কেটেছেন। এছাড়া ছুটির দিনে সেগুলো নিয়ে যাওয়ায় আমরা কিছু করতে পারিনি।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি আলালউদ্দিন জানান, গাছগুলো বিদ্যালয়ের জমিতেই ছিল। তিনি গাছগুলো এভাবে কেটে নেয়া ঠিক করেননি।
জোর পূর্বক গাছ কেটে নেয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কুরশাইট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা জানান, জমির মাপজরিপ নিয়ে কিছু সমস্যা আছে। গাছগুলো আমিই লাগিয়েছিলাম, তাই আমি কেটে বিক্রি করে দিয়েছি।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার একেএম রেজাউল করিম জানান, এভাবে একজন ব্যাক্তি বিদ্যালয়ের জমি থেকে গাছ কেটে নিতে পারেন না। আমি এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।