নিজস্ব প্রতিবেদক,বড়াইগ্রাম:
নাটোরের বড়াইগ্রামে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর মাদ্রাসা ছাত্রীকে (১৩) ধর্ষণের অভিযোগে মাওলানা মুফতি ইসমাইল হোসেন (৩৪) নামের এক মাদ্রাসার শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেলে উপজেলার বনপাড়া পৌরশহরের কালিকাপুর এলাকার একটি বিল থেকে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত শিক্ষক গুরুদাসপুর উপজেলার বৃ-চাপিলা শাহিবাজার গ্রামে আব্দুল লতিফ প্রামানিকের ছেলে ও কালিকাপুর উম্মাহাতুন মুমিনীন মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষক।
অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, গত জানুয়ারী মাসে কালিকাপুর উম্মাহাতুন মুমিনীন মহিলা মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে ভর্তি করে মেয়েটির মা। ভর্তির কিছুদিন পরেই করোনা পরিস্থিতির কারণে বন্ধ হয়ে যায় মাদ্রাসা। তখন মেয়েটি বাড়িতে অবস্থান করে। বাড়িতে থাকা অবস্থায় তার আচরণ অস্বাভাবিক মনে হয় মা ও বোনের কাছে। চুপচাপ থাকে, একা একা কান্নাকাটি করে। মাদ্র্রাসা যেতে বললে অস্বীকার করে মেয়েটি। এমতাবস্থায় মেয়েটি মা-বোন তার পাশে দাঁড়ায়। সবকিছু খুলে বলতে বলে। তখন মেয়েটি জানায়, করোনার ছুটির আগে হাত ধোয়ার ব্যাসিন পরিস্কার করার সময় শিক্ষক তাকে হাতে ইশারায় ডেকে নেয়। এসময় দরজা বন্ধ করে তাকে জোড়পুর্বক ধর্ষণ করে পবিত্র কোরআন স্পর্শ করে শপথ করায় কাউকে বিষয়টি না বলার জন্যে। ২৪ অক্টোবর শনিবার মেয়েটির মা থানায় লিখিত অভিযোগ করলে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে পুলিশ।
বনপাড়া পুলিশ তদন্ত্র কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক তৌহিদুল ইসলাম জানান, মেয়েটি মায়ের অভিযোগের পরিপেক্ষিতে মাদ্রাসা শিক্ষক ইসমাইল হোসেনকে আটক করা হয়েছে।
বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক আনোয়ারুল হক বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মামলা প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
