নিজস্ব প্রতিবেদক, বড়াইগ্রাম:
নাটোরের বড়াইগ্রামে দেশের প্রথম ডিজিটাল জনশুমারী ও গৃহ গনণাকাজে চরম অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা সমন্বয়কারী ফরহাদ হোসেন ও জোনাল অফিসার জুয়েল রানার বিরুদ্ধে। ফরহাদ হোসেন বড়াইগ্রাম উপজেলা পরিসংখ্যান তদন্তকারী (তৃতীয় শ্রেণির পদ) ও জুয়েল রানা জেলা পরিসংখ্যান অফিসের পিওন (চতুর্থ শ্রেণির) পদে কর্মরত। উপজেলার বড়াইগ্রাম ইউনিয়নে পিয়ন জুয়েল রানাকে জোনাল অফিসারের এবং ফরহাদ হোসেনকে উপজেলা সমন্বয়কারীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। আর অদক্ষ নিন্ম শ্রেণির কর্মচারীদের এমন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়ায় গণনা কাজে, আর্থিক ভাবে এবং ব্যবস্থাপনায় চরম অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, সঠিক তদারিক না থাকায় এবং সুপারভাইজার, গণনাকারীদের সাথে অসৌজন্য মূলক আচরণ করায় তারা যথাযথ ভাবে দায়িত্ব পালন করেন নাই। ফলে উপজেলার অনেক পরিবার এখনো গণনার বাহিরে রয়ে গেছে।
খলিশাডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের গণিত বিষয়ের প্রভাষক খাদিজা খাতুন ডলি জানান, তার বনপাড়ার বাসায় কোন গণনাকারী আসেন নাই।
বাজিতপুর গ্রামের ফয়জাল হোসেন বলেন, তার বাড়িতেও কোন গণনাকারী যায় নাই। এমন আরও অন্তত ২০টা অভিযোগ রয়েছে বড়াইগ্রাম ইউনিয়নে। আবার প্রথম রাতে ভ্রাম্যমানদের গণণায় পাওয়া যায়নি অধিকাংশ জোনাল অফিসারদের।
দায়িত্বপ্রাপ্ত গণনাকারী ও সুপারভাইজারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ৪ই জুন থেকে ১২ই জুন পর্যন্ত দুই ধাপে সুপারভাইজার ও গণনাকারীদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয় বড়াইগ্রাম সরকারী কলেজে শেখ রাসের ডিজিটাল ল্যাবে। সে সময় অতি নিন্মামনের খাবার সরবরাহ, ল্যাবের প্রজেক্টোর ব্যবহার করে ভাড়া না দেওয়া, এলাকায় পোষ্টারিংয়ে এবং মাইকিংয়ে অনিয়ম করেছেন।
গনণাকারী এক নারী বলেন, আমি গনণা করতে গিয়ে ভুল হয়েছিল। সেটার জন্য জোনাল অফিসার অশ্লীল ভাষায় গালীগালাজ করছে।
সুপার ভাইজার গোলাম হোসেন বলেন, প্রতিদিন একজন প্রশিক্ষার্নীর খাবার বাবাদ ২৬১ টাকা প্রজেক্টোর ভাড়া ১৪০০০ হাজার টাকা ছিল। কিন্তু অতি নিম্ম মানের খাবার সরবরাহ করা হয়। যা একশত টাকার বেশী না।
বড়াইগ্রাম সরকারী অর্নাস কলেজের অধ্যক্ষ ইসমাইল হোসেন বলেন, আমার কলেজের শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবে ব্যবহার করে সর্বসাক্যল্যে তিন হাজার টাকা দিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা যিনি জোনাল অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, সরকারি কাজ মনে করে শ্রদ্ধার সাথে করতে গিয়ে পদে পদে উপজেলা সমন্বকারী ফরহাদ হোসেন দ্বারা অপমানিত হয়েছি। সর্বশেষ আমি তিনটি ট্যাব জমা দিয়ে আসার পর সে একটা মেরে দিয়েছিল। আমি ট্রাকিং করে সেটা গভীররাতে পরিসংখ্যান অফিসের আলমিরার ছাদ থেকে উদ্ধার করেছি।
এ বিষয়ে জুয়েল রানা নিজেকে জেলা পরিসংখ্যান অফিসের অফিস সহায়ক পরিচয় দিয়ে বলেন, আমাকে দায়িত্ব দেওয়ার পর সক্ষমতা অনুসারে চেষ্টা করেছি। তবে জেলা থেকে গিয়ে যোগাযোগটা ওভাবে করা সম্ভব হয়নি।
ফরহাদ হোসেন বলেন, ভালো কাজ করার চেষ্টা করেছি। ভুল থাকতে পারেই। সেখাতো আমার পরিকল্পনা মন্ত্রী মহোদয়ও স্বীকার করেছেন।
ইউএনও মারিয়াম খাতুন বলেন, কিছু অনিয়মের কথা আমিও শুনেছি।
আরও দেখুন
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ‘রক্তের খোঁজে আমরা’র ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
নিজস্ব প্রতিবেদক চাঁপাইনবাবগঞ্জ ………..চাঁপাইনবাবগঞ্জে রক্তদান সামাজিক সেবামূলক সংগঠন ‘রক্তের খোঁজে আমরা’র ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। শুক্রবার …