রবিবার , অক্টোবর ৬ ২০২৪
নীড় পাতা / জেলা জুড়ে / বড়াইগ্রাম / বড়াইগ্রামে গ্রাম পুলিশ নিয়োগে দুর্নীতি তদন্তের দাবি এলাকাবাসীর

বড়াইগ্রামে গ্রাম পুলিশ নিয়োগে দুর্নীতি তদন্তের দাবি এলাকাবাসীর

নিজস্ব প্রতিবেদক, বড়াইগ্রাম:
নাটোরের বড়াইগ্রামের গোপালপুর ইউনিয়নে গ্রাম পুলিশ নিয়োগে স্বজনপ্রীতি ও অনিয়ম তথা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। মোট ৯টি পদের বিপরীতে একই পরিবারের মা ও ছেলে এবং অপর আরেকটি পরিবারের সহোদর দুই ভাইসহ একই গ্রামের ৭জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে এসব নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। এদিকে, ৭জন গ্রাম পুলিশ একই গ্রামের বাসিন্দা হওয়ায় তাদের পক্ষে গোটা ইউনিয়নে পেশাগত কাজসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে সহায়তার কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে। এলাকাবাসী এই নিয়োগ বাতিল করা সহ এই বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষ থেকে তদন্তের জোর দাবি জানিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গোপালপুর ইউনিয়নে গত দুই বছরে মোট ৭জন গ্রাম পুলিশ সদস্য অবসরে গেছেন। ইতোমধ্যে এসব শুন্যপদে নতুন লোক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নিয়মানুযায়ী প্রতিটি ওয়ার্ডে নিয়োগপ্রাপ্ত গ্রাম পুলিশ সদস্যকে সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দা হতে হবে। যদি কোন ওয়ার্ডে যোগ্য লোক পাওয়া না যায় সেক্ষেত্রে অন্য ওয়ার্ড থেকে নেয়া যাবে। কিন্তু এ ইউনিয়নে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে চাকরী প্রত্যাশীরা আবেদন করলেও শুধুমাত্র ৮ নং ওয়ার্ডের গড়মাটি গ্রাম থেকে সাতজন নারী-পুরুষকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নিয়োগপ্রাপ্তরা হলেন-গড়মাটি গ্রামের ঘাটপাড়ার রহিমা বেগম ও তার ছেলে আব্দুর রহমান রনি, কদমতলা এলাকার তারেক ও তার ভাই তৌফিক, একই পাড়ার আলম হোসেন, আম্বিয়া খাতুন ও এজাজুল ইসলাম।

এসব গ্রাম পুলিশ সদস্যরা নিজ নিজ ওয়ার্ডে বাল্য বিবাহ বন্ধ, মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধ, বিভিন্ন সংবাদ আদান-প্রদান, ভাতাভোগীদের সংবাদ দেয়া, বিভিন্ন মামলার আসামীদের অবস্থানসহ তাদের গ্রেফতারে পুলিশকে সহায়তা দানসহ নানা ধরণের ভূমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু একটি গ্রাম থেকেই ৭জনকে নিয়োগ দেয়ার ফলে বর্তমানে ইউনিয়নের মাত্র ১, ২ ও ৮ নং ওয়ার্ডে ৯জন গ্রাম পুলিশ রয়েছে। অবশিষ্ট ৬টি ওয়ার্ডে কোন গ্রাম পুলিশের বসবাস না নাই।

এ ব্যাপারে গোপালপুর ইউনিয়নের অর্জুনপুর গ্রামের বাসিন্দা সুবেল ভ‚ঁইয়া জানান, নিয়োগ পরীক্ষায় ভালো করলেও চেয়ারম্যানের প্রতিনিধির চাহিদামত টাকা দিতে না পারায় আমাকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। তিনি এই নিয়োগ বাতিল সহ নিয়োগের দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে আবেদন জানান।
গোপালপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খান বলেন, নিয়ম মেনেই এসব নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে অনৈতিক সুবিধা নেয়ার কোন ঘটনা ঘটেনি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এসব গ্রাম পুলিশ নিয়োগে ঠিক কি ঘটেছে তা আমি বলতে পারছি না, কারণ এসব নিয়োগের সময় আমি এ উপজেলায় কর্মরত ছিলাম না।

আরও দেখুন

সিংড়ায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত

    নিজস্ব প্রতিবেদক: নাটোরের সিংড়ায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত হয়েছে। রোববার (৬ …