নিজস্ব প্রতিবেদক, বড়াইগ্রাম:
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার ১নং জেয়াড়ী ইউনিয়ন পরিষদে কোন জাতীয় দিবস পালনা না করার অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যান চাঁদ মাহমুদের বিরুদ্ধে। সর্বশেষ গত ২১শে ফেব্রুয়ারি সরকারি নির্দেশনা থাকলেও মহান শহিদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে পালন করা হয়নি কোন কর্মসূচী। সকল ইউপি সদস্য, মহিলা ইউপি সদস্য এবং কর্মরত সকল কর্মচারীকে দেওয়া হয় সাধারন ছুটি। পরিষদে উত্তলোন করা হয়নি জাতীয় পতাকা, জানানো হয়নি ভাষা শহিদদের স্বরণে কোন শ্রদ্ধা।
প্রত্যক্ষর্দশী এবং এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কোন দিবসেই কোন কর্মসূচী হয় না উপজেলার ১নং জোয়ারী ইউনিয়ন পরিষদ চত্তরে। কেন? তা কারো জানা নেই। মহান শহিদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আমাদের জাতীয় জীবনে এক বিশেষ দিন। এই দিনে শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বে দিবসটি পালিত হচ্ছে। অথচ, এই ইউপি পরিষদ নির্দেশের বাহিরে কিনা সূধীসজনদের প্রশ্ন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অত্র পরিষদের ১নং ইউপি সদস্য ফেরদৌস উল আলম বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষথেকে আমাদের কিছু জানানো হয়নি। চেয়ারম্যান এবং সচিব সাহেব আমাদের সাধারন ছুটি দিয়েছে এবং জাতীয় পতাকা পর্যন্ত উত্তোলন হয়নি। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র তথা সরকারী নির্দেশ অমান্য করতে পারিনা। শুধু এই দিবস নয় জাতীয় কোন কর্মসূচী এখানে পালন করা হয়না।
৩নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল ওয়াহাব বলেন, চেয়ারম্যান এর নেতৃত্বে আমরা উপজেলার আহম্মেদপুর বাজারে দিবস পালন করেছি।
৪নং ওয়ার্ড সদস্য জমসেদ আলী জানান, চেয়ারম্যান বা সচিব আমাদের কোন কর্মসূচীর বিষয়ে অবগত করেন নাই।
এ বিষয়ে ১নং জোয়াড়ী ইউপি চেয়ারম্যান চাঁদ মাহমুদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি দলীয় নেতা কর্মী নিয়ে আহম্মেদপুর বাজারে শহিদ দিবস পালন করেছি। সরকারি ভাবে ইউনিয়ন পরিষদে জাতীয় কর্মসূচীগুলোর নির্দেশ আছে কিনা জানতে চাইলে, তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি।
এ সকল বিষয়ে জানতে চাইলে বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, সারা দেশের ন্যায় ইউনিয়ন পরিষদেও সরকারী ভাবে জাতীয় দিবস পালন হওয়ার কথা, কেন করা হয়নি তা আমরা খতিয়ে দেখবো।