নিউজ ডেস্ক:
বিদায়ী বছরের শেষ দিনে ছোট বোন শেখ রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে হাঁটলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল সকাল সাড়ে ৭টায় সড়কপথে গণভবন থেকে সরাসরি পদ্মাপাড়ে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে পদ্মা সেতুর ৭ নম্বর পিলার থেকে ১৮ নম্বর পিলার পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার হেঁটে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আবদুল কাদের গণমাধ্যমকে বলেছেন, গতকাল সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আকস্মিক পদ্মা সেতু পরিদর্শন করেন। স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে হাঁটেন তিনি। তিনি জানান, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানা পদ্মা সেতু পরিদর্শন করেন। তাঁরা গাড়িতে করে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে সেতুর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যান। এ সময় তাঁদের সঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানা পদ্মা সেতুতে ৭ নম্বর পিলার থেকে ১৮ নম্বর পিলার পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার হাঁটেন। সর্বশেষ ২৮ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থেকে ঢাকায় ফেরার সময় আকাশপথে পদ্মা সেতু দেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তখন হেলিকপ্টার থেকে তিনি সেতুর ভিডিও ধারণ করেন নিজের মোবাইল ফোনে। এ সময় তাঁর পাশে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা। এর আগে গত বছরের ১৭ মার্চ টুঙ্গিপাড়া আসা-যাওয়ার পথে হেলিকপ্টার থেকে সরাসরি পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ দেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তখন পদ্মা সেতুর পূর্ণাঙ্গ কাঠামো নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। উল্লেখ্য, ২৬ ডিসেম্বর সচিবালয় থেকে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতুর কাজ এগিয়ে চলছে। এখন পিচ ঢালাইয়ের কাজ চলছে, এটা শেষ হলেই পদ্মা সেতুর কাজ পুরো সম্পন্ন হয়ে যাবে। আমাদের টার্গেটের মধ্যেই ২০২২ সালের জুনে পদ্মা সেতু উদ্বোধন হবে। প্রসঙ্গত, ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে দ্বিতল পদ্মা সেতুতে নিচ দিয়ে রেলপথ ও ওপর দিয়ে সড়কপথ থাকবে। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড (এমবিইসি) এবং নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। সেতুর কাজ প্রায় ৯৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।