নিউজ ডেস্ক:
৭০ হাজার টাকা ভাড়ায় যাত্রা শুরু করেছিল গ্রীন লাইফ হাসপাতাল। সেটি এখন দেশের সেরা বিশেষায়িত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পরিণত হয়েছে। শিক্ষা, চিকিৎসা ও পরিচালনায় এখানে সরাসরি যুক্ত রয়েছেন দেশের সেরা চিকিৎসকরা। এখানে রোগীদের এক দিনও প্রয়োজনের বেশি রাখা হয় না, চিকিৎসকদেরও দেওয়া হয় না কোনো কমিশন।
বর্তমান শিক্ষা ও চিকিৎসার কার্যক্রমের পাশাপাশি ভবিষ্যতে এখানে চালু করা হবে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট ও লিভার ট্রান্সপ্লান্ট কার্যক্রম।
নিজস্ব বিল্ডিংয়ে শিক্ষা ও চিকিৎসাসেবা দিয়ে বেসরকারি গ্রীন লাইফ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এক যুগ পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শনিবার বক্তারা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক ডা. শাহলা খাতুন।
বক্তব্য দেন হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত এমপি, অধ্যাপক ডা. আব্দুল আউয়াল রিজভী, হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মো. মঈনুল আহসান, পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল খায়ের, অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ, অধ্যাপক ডা. ওয়াদুদ চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. জামানুল ইসলাম ভূঁইয়াসহ অন্য চিকিৎসকরা।
জাতীয় অধ্যাপক ডা. শাহলা খাতুন বলেন, ‘এই মেডিক্যাল কলেজের অনেক শিক্ষার্থী ভালো ভালো জায়গায় কাজ করছে। প্রত্যেকে তাদের বেস্ট সার্ভিস দিচ্ছে। স্টাফরাও সবাই আপ্রাণ চেষ্টা করছে আরো এগিয়ে নেওয়ার জন্য। আশা করি, ভবিষ্যতেও সম্মান বজায় রাখতে পারব। ’
অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, ‘শিক্ষা ও চিকিৎসায় এই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালটি বেশ এগিয়েছে। এখানে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট ও লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করা যায় কি না সেটি নিয়ে আমরা ভাবছি। ’
হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মো. মঈনুল আহসান বলেন, ‘৭০ হাজার টাকা ভাড়ায় এই হাসপাতালের যাত্রা শুরু করেছিলাম। সেটা আজ সাফল্যের শীর্ষে। আশার কথা যে, এটা বাংলাদেশের একমাত্র হাসপাতাল, যারা ডাক্তারকে এক টাকাও কমিশন দেয় না। রোগীদেরও প্রয়োজনের বেশি এক দিনও রাখা হয় না।