নিজস্ব প্রতিবেদক:,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, নাটোরের কবি গজেন্দ্রনাথ কর্মকার, কাব্যরত্ন, সাহিত্যতীর্থ (১৯১২ – ১৯৭৭) আজ নাটোরবাসীর কাছেই বিস্মৃত। ১৩১৯ বঙ্গাব্দের ৯ কার্তিক ( ১৯১২ সালের অক্টোবর মাসের ২৫ তারিখ ) তাঁর জন্ম নাটোরের ছাতনী গ্রামে। বাবা গদাধর কর্মকার এবং মা মাতঙ্গিনী দেবী। থাকতেন শহরের লালবাজারে তাঁর বাণী-বীথি নামক বাড়িতে। আমার নাটোরের ইতিহাস বইতে আলোচনা ছাড়াও তাঁর সম্পর্কে আমার নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল নাটোরের কৃতী গবেষক, স্বনামধন্য লেখক ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গুণী অধ্যাপক ড. মোঃ মকসুদুর রহমান সম্পাদিত এবং জেলা প্রশাসন কর্তৃক প্রকাশিত (১৯৮৯) নাটোরের গৌরব গ্রন্থে। নাটোরের খ্যাতিমান কবি শ্রদ্ধেয় মোঃ হাসার-উদ্-দীন, কবিরত্নের ( ৮.১১.১৯০৭ – ৩১.১২.১৯৯৭) কাছে ব্যক্তিগতভাবে পেয়েছি কবি গজেন্দ্রনাথের কৃতি ও অতীত নাটোরের সাহিত্যচর্চার অনেক অমূল্য খবর। তাঁর ঋণ স্বীকার করি শ্রদ্ধার সাথে। সাইকেলে চড়া গজেন্দ্রনাথের ঝাঁকড়া চুলের চেহারা আজও মনে পড়ে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁকে আমরা পেয়েছি আমাদের শৈশব-কৈশোর এবং যৌবনের সূচনায়। ১৯৭৭ সালের ২১ নভেম্বর ৬৫ বছর বয়সে গজেন্দ্রনাথ মৃত্যুবরণ করেন নাটোরের লালবাজার বাণী-বীথিতে। অবজারভার পত্রিকার সাংবাদিক, কবি গজেন্দ্রনাথ কবিতা, গল্প, উপন্যাস, নাটক ও প্রবন্ধ সাহিত্যে অনেক অবদান রেখেছেন। শেরশাহ, রানী জয়মতি, বাংলার দেওয়ান, ইত্যাদি নাটক ; চক্রবৎ নামে উপন্যাস ; খতিয়ান, হীরক জয়ন্তী, বুদ্বুদ, স্মৃতিরেখা ইত্যাদি কাব্য ; কবি রাধাচরণ, অসীম রবীন্দ্রনাথ, সাহিত্যে নাটোরের দান ইত্যাদি প্রবন্ধ তাঁর কীর্তি। ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নাটোর এলে কবির বাড়িতে নিজে আসেন। পরে ১৯৭৪ সালে সর্বহারা কবির হীরক জয়ন্তী কাব্যের জন্য ৫০০০টাকা অনুদান প্রদান করেন বঙ্গবন্ধু। বইটি কবি উৎসর্গ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর নামে। খতিয়ান এবং হীরক জয়ন্তী বইতে অতীত নাটোরের চিত্তাকর্ষক সংবাদ পাওয়া যায়। হাসার-উদ-দীন কবিরত্নের সহায়তায় নাটোরের মুহম্মদ আবদুল ওহাব ভুঁইয়ার আমাদের প্রেস ছাপালেও মাত্র ২০০ টাকা খরচ করতে না পারায় বইটি আলোর মুখ দেখতে পারেনি। তবে ১৯৭৪ সালে নাটোর সাহিত্যচক্রের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে এটি কবি পাঠ করেছিলেন। আমাদের পরিচিত কবি গজেন্দ্রনাথ কর্মকার সম্পর্কে অনেক কথা বলা যায়। সংক্ষেপে এটুকুই বললাম যাতে আমাদের উত্তর-প্রজন্ম আসল এবং বিস্তারিত কাজ করতে পারেন। ( খতিয়ান বই মোঃ হাসার-উদ-দীন কবিরত্নের ছেলে মরহুম মোঃ হাসিবউল ইসলাম (বাঘা ভাই) আমাকে কপি করে দিয়েছেন ২৬.১.১৯৯১ তারিখে । তিনি ও আমি উভয়েই তখন সরকারি চাকরিসূত্রে গাইবান্ধায়।
আরও দেখুন
ডিজিটাল হোল্ডিং নম্বর প্লেট দিতে ‘টাকা আদায়
নিজস্ব প্রতিবেদক বড়াইগ্রাম,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার ১ নং জোয়ারি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ডিজিটাল হোল্ডিং নম্বর প্লেট …