নিউজ ডেস্ক:
সারাবিশ্বে যে চারটি পরিবার রাজনীতির গতিপ্রকৃতি পরিবর্তন করেছে, সভ্যতার বিকাশে এবং মানবতার কল্যাণে যারা কাজ করেছে; এমন চারটি পরিবারের মধ্যে বঙ্গবন্ধু পরিবার একটি। বাকি পরিবারগুলো হলো ব্রিটিশ রাজপরিবার, আমেরিকার কেনেডি পরিবার এবং ভারতের নেহেরু পরিবার। এই চার পরিবার বিশ্বের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। শুধু বঙ্গবন্ধু নয়, তার উত্তরসূরিরাও অনন্য সাধারণ ভূমিকা রেখে চলেছেন। মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এ মন্তব্য করেন। শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের সভাপতি মুজাহিদুর রহমান সরকারের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় উপস্থিত ছিলেন পুলিশের সাবেক আইজিপি একেএম শহিদুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিকেশন ডিজঅর্ডার বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক তাওহিদা জাহান শান্তা এবং শিশু সংগঠক শফিকুর রহমান দুলু। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে ৭৫ পাউন্ডের কেক কাটা হয়। এছাড়াও শিশু-কিশোরদের পুরস্কার বিতরণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় যেখানে রাজধানীর বিভিন্ন স্কুলের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে একেএম শহিদুল হক বলেন, শেখ হাসিনার মতো দুঃখী পৃথিবীতে আর ক’জন আছে আমি জানি না। তার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের বাংলাদেশ দিয়ে গেছেন। সেই জাতির পিতার পরিবারকে দুর্বৃত্তরা নির্মমভাবে হত্যা করেছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে জিয়াউর রহমান শেখ হাসিনাকে ছয় বছর দেশে আসতে দেয়নি। ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে তার প্রিয় ধানমÐি ৩২ নম্বরের বাসায় ঢুকতে দেয়া হয়নি। তিনি রাজপথে বসে মিলাদ পড়ে ১৫ আগস্টের শহীদদের জন্য দোয়া করেছেন। কত নির্মম, কত নিষ্ঠুর।