ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পরিবেশ রক্ষা, জলাধার রক্ষা, গাছ লাগানোসহ দেশের উন্নয়নে আপনারা কাজ করবেন। বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। এ জন্য দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। প্রতিটি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট করছি। ইতোমধ্যে ১০০টি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
রোববার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইডিইবি) ২৩তম জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন আইডিইবি’র সভাপতি এ কে এম এ হামিদ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি দেশকে গড়ে তুলতে হলে দক্ষমানব শক্তির সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে আমাদের দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে। শুধু দেশের জন্য নয়, যারা বিদেশে কাজ করবেন তাদেরও দক্ষ হয়ে যেতে হবে। তাহলে আমরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবো।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকা থেকে শুরু করে সারাদেশে তৃণমূল পর্যায়ে উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন তারা। স্বাধীনতার পরে কালভার্ট, ব্রিজ ও স্কুলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। অর্থাৎ ধ্বংসপ্রাপ্ত একটা বাংলাদেশকে গড়ে তোলার জন্য সবকিছুতেই ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের অবদান রয়েছে। ১৯৫৪ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন তিনি তেজগাঁও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন করেন।
তিনি বলেন, প্রকৌশল শিক্ষার গুরুত্ব উপলব্ধি করে আমরা ১২টি বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছি। এসব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দক্ষ জনশক্তি বের হলে দেশ আরও এগিয়ে যাবে। ২০৪১ সালের যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি, আশা করছি সেই বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে। বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন ৪১ সালে এদেশের মানুষ সেই বাংলাদেশ পাবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী। মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন আইডিইবি’র সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুর রহমান। তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দেশি-বিদেশি অনেক প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন। তারা বিভিন্ন সেশনে অংশগ্রহণ করবেন।