নিজস্ব প্রতিবেদক, দিনাজপুর:
দিনাজপুর বিরামপুরে মিজান মার্কেটে শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে বেড়েছে বেচাকেনা। শীতের গরম কাপোড় বিক্রি নিয়ে ব্যাস্ত সময় পার করছে মার্কেটের ব্যাবসায়ীরা। বেশ কয়েকদিন শৈত্যপ্রবাহে আর ঘন কুয়াশায় শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়াই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বিরামপুরের মানুষের জনজীবন। ক্রেতা সমাগমে মুখরিত গরম কাপড়ের দোকানগুলো। শীত মৌসুম এলেই মার্কেটে ছোট-বড় সকলের শীতের গরম কাপড় স্বল্প মুল্যেই বিক্রি হয়। হাজী সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান তারা শীতবস্ত্র ছাড়াও অন্যান্য পোশাকও বিক্রি করে থাকেন।
মার্কেটগুলোতে ঘুরে দেখা যায়, সোয়েটার, উলের পোশাক, ব্লেজার, ট্রাউজার, জ্যাকেট, চাদর, মাফলার, কম্বল কানটুপিসহ নানা ধরনের শীতবস্ত্রের বিপুল সমারোহ। পছন্দমতো দামে গরম কাপড় কিনছেন ক্রেতারা। শীতের প্রোকোপ বেড়ে যাওয়াই বেচাকেনাও বেড়েছে বলছেন ব্যবসায়ীরা। দাম কম হওয়াই নিম্ন আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে সকল শ্রেনী-পেশার লোক ভিড় করছেন শীত নিবারনে গরম কাপর কিনতে হাজী মার্কেটে।
মার্কেটের ব্যবসায়ীরা বলেন, বাহিরের দেশ থেকে বেল আকারে এ কাপরগুলো চট্রগ্রাম, ঢাকাসহ অন্যান্য জেলাগুলো তে নিয়ে আসা হয়। আমরা সেখান থেকে খুচরা বিক্রির জন্য কিনে নিয়ে আসি। এই বছর শীতের প্রোকোপ বাড়ার কারনে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে এবং আমাদেরও পর্যাপ্ত পরিমান বেচাকেনা হচ্ছে। গত ৪ দিন ধরে আমাদের বেচাকেনা বেড়ে যাওয়াই ব্যাস্ত সময় পার করতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এভাবে বেচাকেনা বাড়তে থাকলে আমরা শীতের সব কাপড় বিক্রি করে গত কয়েক বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবো।
ফুলবাড়ী থেকে গরম কাপড় কিনতে আসা সাঈদ হোসেন বলেন, বিরামপুরে গত কয়েকদিন ধরে শৈত্যপ্রবাহ ও কুয়াশা তে শীত বেড়েছে। মুলত শীত নিবারনের জন্যই মার্কেটে গরমের কাপড় কিনতে এসেছি। এই বিরামপুরে কম দামেই শীতের গরম পোশাক পাওয়া যাই যা পছন্দ অনুযায়ী কিনতে পারি।