নিজস্ব প্রতিবেদক,নলডাঙ্গা:
নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)র উপস্থিতি টের পেয়ে বিয়ের আসর থেকে পালালেন বর ও অবিভাবকরা। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার পিপরুল ইউনিয়নের ছান্দাবাড়ি গ্রামে ১৩ বছরের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ে দিচ্ছিছিলেন মেয়েটির পরিবার। জাতীয় সেবা ৯৯৯ খবর পেয়ে উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেওয়ান আকরামুল হক থানা পুলিশের সহযোগিতায় বিয়ের আসরে গিয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধ করেন ও ১৮ বছর পূর্ণ না হলে বিয়ে না দিতে মুচলেখা আদায় করেন এবং ভ্রাম্যমান আদালতে ছাত্রীর মামাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,২৯ আগষ্ট মঙ্গলবার রাতে উপজেলার পিপরুল ইউনিয়নের ছান্দাবাড়ি গ্রামের ১৩ বছর বয়সী সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ের আয়োজন করেন পরিবার।এসময় স্থানীয়রা জাতীয় সেবা ৯৯৯ কল দিলে নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেওয়ান আকরামুল হক সেই বিয়ে বাড়িতে যান।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও উপস্থিতি টের পেয়ে পালালেন বর ও মেয়েটির বাবা। নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেওয়ান আকরামুল হক বলেন,জাতীয় সেবা ৯৯৯ মাধ্যমে খবর পেয়ে ছাত্রীর বাল্য বিয়ে বন্ধ করি ও ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পযন্ত বিয়ে না দিতে মুচলেখা আদায় করা হয় এবং ভ্রাম্যমান আদালতে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইনে ছাত্রীর মামাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বাল্য বিয়ে বিষয়ে সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা উল্লেখ করে বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানান।