নিউজ ডেস্ক:
প্রায় সাড়ে চার মাস পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের বন্ধ দুয়ার খুলেছে। রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে করোনা শনাক্ত করতে র্যাপিড টেস্ট শুরু হয়েছে। প্রায় তিন সপ্তাহের টানাপোড়েন শেষে আমিরাতের শর্ত মেনে বিমানবন্দরেই করোনা পরীক্ষা করে দেশটিতে যেতে শুরু করেছেন বাংলাদেশি প্রবাসীরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিমানবন্দরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের চারটি ফ্লাইটের ৫২ জন যাত্রীর র্যাপিড টেস্ট করা হয়। এর আগে বুধবার দুপুরে আমিরাতের কাছ থেকে অনুমতি মেলার পর রাতের দুটি ফ্লাইটের ৫১ জন যাত্রীর পরীক্ষা করা হয়। ছয় ফ্লাইটের মোট ১০৩ যাত্রী যাত্রা শুরুর আগে র্যাপিড টেস্ট করেছেন। বিমানবন্দর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যাত্রীপ্রতি এক হাজার ৬০০ টাকা ফিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদিত ছয় প্রতিষ্ঠানের ল্যাব থেকে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ইকে-৫৮৫ দুবাইগামী ফ্লাইটের যাত্রী কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের মিরাজ হোসেন জানান, তার ফ্লাইট বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়। বিমান ছাড়ার ছয় ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে এসেছেন। এরপর করোনা পরীক্ষার নমুনা দিয়েছেন। তিন ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষার ফল পেয়েছেন।
বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এইচ এম তৌহিদ-উল-আহসান জানান, গত বুধবার রাত ১০টা থেকে করোনা পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শাহরিয়ার সাজ্জাদ জানান, বুধবার রাতে সৌদিগামী একটি ফ্লাইটের দু’জন যাত্রীর করোনা পরীক্ষার মাধ্যমে বিমানবন্দরে র্যাপিড টেস্টের কার্যক্রম শুরু হয়। পরে দুবাইগামী এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটের ৩৯ জন যাত্রীর করোনা পরীক্ষা করা হয়। তারা গন্তব্যে পৌঁছেছেন।
বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষার সুবিধা না থাকায় গত ১৩ মের পর বাংলাদেশিরা আমিরাতে যেতে পারছিলেন না। ছুটিতে দেশে এসে আটকা পড়েছিলেন ৪০ থেকে ৫০ হাজার প্রবাসী কর্মী। এর ফলে অপেক্ষারত নতুন কর্মীরাও আটকা পড়েন। এমনকি এর মধ্যে অনেকের ভিসার মেয়াদও শেষ হয়েছে।
চাকরি হারানোর শঙ্কায় প্রবাসী কর্মীরা বিমানবন্দরে ল্যাব স্থাপনের দাবিতে রাজপথে নামেন। গত ৬ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিসভার বৈঠক থেকে দেশের তিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুই-তিন দিনের মধ্যে করোনার র্যাপিড টেস্টের ল্যাব স্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠান বাছাই নিয়ে নানা টানাপোড়েন ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় ২৪ দিন সময় লাগে শাহজালাল বিমানবন্দরে পরীক্ষা শুরু করতে। বাকি দুই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ল্যাব স্থাপনে এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।