নিউজ ডেস্কঃ
বাংলাদেশের জন্য ম্যাচটি ছিল বাঁচা-মরার আর পাকিস্তানের সুযোগ সিরিজ নিশ্চিত করার। এ মিশনে শেষ হাসি স্বাগতিক পাকিস্তানেরই। বাংলাদেশকে পুরো ম্যাচে কোনো রকমের সুযোগ না দিয়ে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে জিতে নিয়েছে পাকিস্তান। একই সঙ্গে এক ম্যাচ হাতে রেখেই নিশ্চিত করেছে সিরিজ জয়।
টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ২০ ওভারে করে মাত্র ১৩৬ রান, যা মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ২০ বল হাতে রেখেই তাড়া করেছে স্বাগতিকরা। ব্যাট হাতে ফিফটি হাঁকিয়েছেন মোহাম্মদ হাফিজ ও বাবর আজম।
রান তাড়া করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার আহসান আলির উইকেট হারিয়েছিল পাকিস্তান। ডান হাতি এ ওপেনার ৭ বল খেলেও কোনো রান করতে পারেননি। তাকে সাজঘরে ফেরত পাঠান শফিউল।
এরপর অবশ্য আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাদের। হাফিজ ও বাবরের ১৩১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ১৬.৪ ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে গেছে স্বাগতিকরা। হাফিজ ৪৯ বলে ৬৭ ও বাবর ৪৪ বলে করেন ৬৬ রান। ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন বাবর।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। কিন্তু গতকালের শুরুটাও আজ করতে পারেননি টাইগাররা। স্লো ব্যাটিং করলেও প্রথম ম্যাচে ওপেনিং জুটিতে উঠেছিল ৭১ রান। আজ স্কোরবোর্ডে ৫ রান উঠতে না উঠতেই শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে মোহাম্মদ নাঈম ব্যাটে খোঁচা লাগিয়ে উইকেটের পেছনে উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে জমা দেন।
২২ রানে বিদায় নেন ওয়ান ডাউনে নামিয়ে দেয়া বিপিএল কাঁপানো ব্যাটসম্যান মেহেদী হাসান। ১২ বলে মাত্র ৯ রান করেন তিনি। বিপিএল কাঁপানো আরেক ব্যাটসম্যান লিটন দাস আউট হলেন মাত্র ৮ রান করে, বল হজম করেছেন তিনি ১৪টি।
আফিফ হোসেন ধ্রুব মাঠে এসে ওপেনার তামিম ইকবালের সঙ্গে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ২০ বলে ২১ রান করে তিনিও বিদায় নেন আরেক পেসার মোহাম্মদ হাসনাইনের বলে।
আফিফ আউট হওয়ার পর তাড়াহুড়া করে রান নিতে গিয়ে রানআউটের খাঁড়ায় পড়লেন তামিম ইকবাল। ৫৩ বলে ৬৫ রান করে বিদায় নেন তামিম। ৭টি বাউন্ডারির সঙ্গে ১টি ছক্কার মার ছিল তার ইনিংসে।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ মাঠে নেমে খেললেন ১২ বলে ১২ রান। একটি বাউন্ডারি মারলেন শুধু। এরপর বিদায় নেন তিনি। সৌম্য সরকার মাঠে নেমে খেলার সুযোগ পান মাত্র ৫ বল। আমিনুল ইসলাম বিপ্লব পেলেন ৪ বল খেলার সুযোগ। কিন্তু সৌম্য করলেন কেবল ৫ রান আর বিপ্লব করলেন ৮ রান। দু’জনই ছিলেন অপরাজিত।
পাকিস্তানের হয়ে মোহাম্মদ হাসনাইন ২টি, শাহিন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফ এবং শাদাব খান নেন ১টি করে উইকেট।