নিজস্ব প্রতিবেদক:
আজ ৯ মে মহীয়সী নারী অনিমা চৌধুরীর ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী। নাটোরের বর্তমান নলডাঙ্গা উপজেলার বাসুদেবপুরের বিখ্যাত ভট্টাচার্য পরিবারে জন্ম এই মহীয়সীর। ১৯৩৮ সনে অনিমা ভট্টাচার্য নামে যে মেয়েটি জন্মেছিল, সময়ান্তরে নাটোরের ছাতনী ইউনিয়নের ভাবনী গ্রামের বিখ্যাত চৌধুরী পরিবারে এসে তিনি হয়ে গেলেন অনিমা চৌধুরী।
বিদূষী ও মমতাময়ী এ নারী একাধারে আদর্শ গৃহিণী, সংগীত অনুরাগী, রাজনীতিক এবং সমাজসেবী ছিলেন। মানুষ হিসাবে তিনি মনুষ্যত্ব ও মহত্বের যে স্বাক্ষর রেখে গেছেন তা কখনই ভোলার নয়। নাটোরের শিক্ষা-সংস্কৃতি, অসাম্প্রদায়িক চেতনা, নারী অধিকার, সমাজ কল্যাণ ও সেবাব্রতে তিনি যে উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন সেজন্য নাটোরে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই তাঁকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
নাটোর জেলা আওয়ামী মহিলা লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভানেত্রী, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নাটোর জেলার প্রতিষ্ঠাকালীন সভানেত্রী হিসেবে দক্ষতার সাথে তার দায়িত্ব পালন করে গেছেন। তিনি চমৎকার গান গাইতে পারতেন। মহীয়সী হয়ে ওঠার পেছনে তাঁর স্বামীর প্রেরণাও কাজ করেছে। রাজনীতি করতে গিয়ে অনেক সময় প্রয়াত ও সর্বজনশ্রদ্ধেয় শংকর গোবিন্দ চৌধুরী যখন জেলে ছিলেন অথবা যখন তাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে ট্রেন থেকে ফেলে দেয়া হয়েছিল সেই আহত অসুস্থতার সময় এই গৃহিণী মহীয়সী নারী যেমন শক্ত হাতে ধরেছেন সংসারের হাল, তেমনি সকল নির্যাতিত নিপীড়িত রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের যুগিয়েছেন সাহস।
গ্রামের বাড়ি ভাবনী’র সহায় সম্পত্তি দেখভাল করা, তার ব্যবস্থাপনা করাও ছিল তাঁর অন্যতম দায়িত্ব। এই বিশাল ভার বহন করতেন যিনি তিনি মহীয়সী নারী অনিমা চৌধুরী। তিনিই নাটোরে সবার কাছে হয়ে উঠেছিলেন প্রিয় কাকিমা।
আজ কাকিমার ৮ম মৃত্যুবার্ষিকীতে বিনম্র শ্রদ্বাভরে স্মরণ করছে নারদ বার্তার নির্বাহী সম্পাদক উমা চৌধুরী জলি, প্রকাশক জয়শ্রী সেনগুপ্ত, সম্পাদক পরিতোষ অধিকারীসহ সকল সদস্যবৃন্দ।