নিউজ ডেস্ক:
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের মদদদাতা এমপি-মন্ত্রী যেই হোক প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) দলটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সম্পর্কে রিপোর্ট দিয়েছে। নির্বাচনে যারা বিদ্রোহী ছিল এবং বিদ্রোহীদের যারা মদদদাতা, তাদের সম্পর্কেও রিপোর্ট দিয়েছে। লিখিত রিপোর্ট এসেছে। এছাড়া মৌখিকভাবেও নাম এসেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিদ্রোহীদের যেসব নেতা মদদ দিয়েছে তাদেরকে শাস্তি পেতে হবে। মদদদাতা জনপ্রতিনিধি হলে, এমপি-মন্ত্রী যা-ই হোক প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন দলীয় প্রতীক ছাড়া হবে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বিশেষ এলাকায় বিশেষ কারণে (দলীয় প্রতীক ছাড়াই) নির্বাচন হতে পারে। তবে সামগ্রিকভাবে (দলীয় প্রতীক ছাড়া নির্বাচন) করার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ইউপি নির্বাচনে অনেক জায়গায় সহিংসতা হয়েছে।
পাশাপাশি ভোটকেন্দ্রে ৭০ থেকে ৭৩ শতাংশ ভোটার উপস্থিত হয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভোটারদের উপস্থিতি ভোটের প্রতি আগ্রহ আরও বাড়িয়েছে। বিশৃঙ্খলা ও সহিংসতার ব্যাপারে কঠোর হতে প্রধানমন্ত্রী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে, বিশেষ করে মন্ত্রীকে বিশেষভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে এর পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
সভাপতিমণ্ডলীর নতুন তিনজন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সভানেত্রীর নির্দেশে চিঠি না দেওয়া পর্যন্ত কাউকে নতুন সদস্য বলতে পারব না। প্রেসিডিয়াম সদস্য হলেও জেনারেল সেক্রেটারির চিঠি যাবে সভানেত্রীর নির্দেশে। সেটা যাওয়ার আগে কিছু বলছি না।