নিউজ ডেস্ক:
বিদ্যুৎ নিয়ে সুখবর দিয়েছে বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারি প্রতিষ্ঠান সামিট গ্রুপ। আগামী বছরের জুনে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে সামিট মেঘনাঘাট পাওয়ার ষ্টেশন-২ থেকে জাতীয় গ্রিডে ৫৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হবে। আর সর্বনিন্ম মুল্যে এ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে বলে জানিয়েছেন সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আজিজ খান।
এসময় তিনি বলেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, আইনের শাসন ও দূর্নীতি প্রতিরোধ বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। সামিটের এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আমেরিকান কোম্পানী জি ই এর প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। আমেরিকান কোম্পানী জি ই ও স্থানীয় কোম্পানী সামিট এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করছে। যৌথভাবে এই কোম্পানী গড়ে তোলা আমেরিকান অন্যান্য কোম্পানি বাংলাদেশে জ্বালানিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগে উৎসাহিত করবে।
করোনার সময় ভ্যাকসিন দিয়ে আমেরিকা আমাদের পাশে দাড়িয়েছিল। বিশ্বের জ্বালানী সংকটের সময় আমেরিকা বাংলাদেশের পাশে থাকবে কিনা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আমেরিকান রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা বাংলাদেশের পাশে থাকব। শুধু গ্যাস, কয়লা বা ডিজেল ভিত্তিক গতানুগতিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষেত্রে নয়, রিনয়েবল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষেত্রে আমাদের কোম্পানি বাংলাদেশের কোম্পানির সাথে ভবিষ্যতে কাজ করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
বাংলাদেশের সমুদ্র সীমানায় তেল-গ্যাস উত্তোলনে আমেরিকা বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে কিনা? এমন এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, বিষয়টিতে আমি বিশেষজ্ঞ না। তবে বাংলাদেশের সমুদ্র সীমানায় থাকা তেল, গ্যাস উত্তোলনের সাম্ভাব্যতা আমেরিকান কোম্পানিগুলো যাচাই করে দেখবে।
তিনি বলেন, আমেরিকা উন্নয়নশীল দেশগুলোর পাওয়ার সেক্টরের উন্নতিতে কাজ করছে। আমেরিকান কোম্পানি বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ও উন্নতিতে সহায়তা করছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে চর সানাউল্লায় নির্মানাধীন সামিট মেঘনাঘাট পাওয়ার কোম্পানি লি.২ ও উৎপাদনে থাকা সামিট মেঘনাঘাট পাওয়ার কোম্পানি লি. পরিদর্শন শেষে তিনি সিলেটে সামিট বিবিয়ানা পাওয়ার কোম্পানি পরিদর্শন করতে যান। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আজিজ খান, ভাইস চেয়ারম্যান লতিফ খান, জি ই গ্যাস পাওয়ার এর দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের সি ই ও দীপেশ নন্দা, জি ই গ্যাস পাওয়ার এর কান্ট্রি লিডার নওশাদ আলী প্রমুখ।
সামিটের নির্মাণাধীন নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানান সামিট এর চেয়ারম্যান আজিজ খান। তিনি বলেন, গত ১০-১২ বছরে জিডিপি যে শতকরা ৭-৮ ভাগ উন্নতি হয়েছে সেটা বিদ্যুতের কারনে হয়েছে। জিডিপি’র গ্রোথকে ধরে রাখতে চাইলে বিদ্যুতের প্রয়োজন। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্যাস থেকে ৬২ ভাগ পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে ফলে বিদ্যুৎ খরচ কম হবে।
তিনি জানান, এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র গ্যাসে চলতে পারে। ডিজেলে চলতে পারে। হাইড্রোজেনে চলতে পারে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কার্বন নিঃসরন কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ষাট ভাগ কম ও অন্যান্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে চল্লিশ ভাগ কম। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানী সরবরাহ সম্পর্কিত।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিশ্ববাজারে তেল ও গ্যাসের দাম আগের চেয়ে কমেছে। যেটা ষাট ডলার পার এম এম ভি কিউ হয়ে গিয়েছিল সেটা এখন ২৫ ডলার পার এম এম ভি কিউ হয়েছে। আর কিছুটা কমলে বাংলাদেশের অসুবিধা হবে না। বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পেট্রোবাংলার গ্যাস সরবরাহ সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি একশ ভাগ নিশ্চিত পেট্রোবাংলা গ্যাস আমাদের দিবে। কারণ এখানে গ্যাস দিলে সর্বনিম্ন মুল্যে বিদ্যুৎ পাবে।