নিউজ ডেস্ক:
বর্তমান বিনিময় হার (প্রতি ডলার ৮৬ টাকা) অনুযায়ী এর পরিমাণ চার হাজার ৩০০ কোটি টাকা।
আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাটি মঙ্গলবার এ ঋণ অনুমোদন দেয়।
বুধবার সংস্থাটির ঢাকা কার্যালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, নতুন এ ঋণ বাংলাদেশের বিদুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও বিস্তৃতকরণ এবং বিদ্যুৎ ব্যবস্থার টেকসই পরিবর্তনে সহায়তা করবে।
“বিদ্যুৎ ব্যবস্থার আধুনিকায়নের এ কর্মসূচির আওতায় ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের চার কোটি মানুষের কাছে উন্নত বিদ্যুৎ সেবা পৌঁছানো হবে।”
এর মাধ্যমে ৩১ হাজার কিলোমিটার বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন ও ১৫৭ উপকেন্দ্রের আপগ্রেড ও নির্মাণ করা হবে।
একই সঙ্গে ২৫টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জন্য জলবায়ু সহায়ক বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা তৈরিতে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
নতুন ঋণ অনুমোদনের প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশে বিশ্ব ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ড্যানড্যান চেন বলেন, “গত এক দশকে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উৎপাদন চারগুণের বেশি বাড়িয়েছে। আর প্রায় ৯৯ ভাগের বেশি মানুষের কাছে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে গেছে। কিন্তু বিদ্যুৎ উৎপাদনের উল্লেখযোগ্য গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে সরবরাহ নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে পারেনি।
“এ কর্মসূচি জলবায়ু সহনশীল সরবরাহ নেটওয়ার্কের আধুনিকায়ন ও নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে, যা নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার মেরুদণ্ড।”
বিশ্ব ব্যাংকের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (আইডিএ) মাধ্যমে দেওয়া হবে ৩০ বছর মেয়াদি এ ঋণ। এর মধ্যে থাকবে পাঁচ বছরের রেয়াত কাল।
মোট অর্থের মধ্যে ১৫ লাখ ডলার ক্লিন টেকনোলজি ফান্ডের (সিটিএফ) আওতায় অনুদান হিসাবে দেওয়া হবে বলেও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
এ কর্মসূচিসহ বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিশ্ব ব্যাংকের ১০৮ কোটি ডলারের সহায়তা কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।