শনিবার , ডিসেম্বর ২১ ২০২৪
নীড় পাতা / উত্তরবঙ্গ / বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে যুবলীগ নেতাকে নির্যাতন॥ ৭ দিন পর আইসিইউতে মৃত্যু

বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে যুবলীগ নেতাকে নির্যাতন॥ ৭ দিন পর আইসিইউতে মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক ,,,,,,,,,,,নাটোর সদর উপজেলায় বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে পেটানোর ৭দিন পর সাইদুর রহমান (৫০) নামে এক ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতির মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত সাইদুর রহমান বাবু সদর উপজেলার দরাপপুর গ্রামের মৃত মতিন মাস্টারের ছেলে। এই ঘটনায় অভিযোগের তীর উঠেছে জেলা যুবদলের সহসভাপতি কাবির হোসেন কাঙ্গালের দিকে। যদিও এই ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।

এলাকাবাসী ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন সাইদুর রহামান ও তার ভাইয়ের বাড়িতে হামলা হয়। তখন থেকে তিনি ও তাঁর তিন ভাই আত্মগোপনে ছিলেন। নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, পূর্ব বিরোধের জেরে গত ৩০ অক্টোবর দুপুর ১২টার দিকে কাবির হোসেন কাঙ্গালের সহযোগীরা সাইদুর রহমান বাবুকে নাটোর শহর থেকে গাড়িতে উঠিয়ে নেয়। পরে তাকে সদর উপজেলার দরাপপুর বাজারে কাঙ্গালের অফিসে নিয়ে গিয়ে এক দফা পেটানো হয়। পরে তাকে বাইরে নিয়ে গিয়ে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে পুনরায় লোহার রড ও লাঠি দিয়ে পেটানো হয়। পরে গুরুত্বর আহত অবস্থায় বাবুকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়া হয়। এরই এক পর্যায়ে বুধবার সন্ধ্যায় তিনি সেখানে মৃত্যুবরণ করেন।

এদিকে স্থানীয় বিএনপি কর্মীরা দাবি করে জানান, আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে বাবুর নের্তৃত্বে বিএনপি নেতা কাবির হোসেন কাঙ্গালের ব্যবসায়িক অফিস ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। এই ঘটনার জেরেই আওয়ামীলীগের কর্মীকে মারপিটের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। এছাড়া আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে যুবলীগ নেতা বাবু বিএনপির অনেক নেতাকর্মীকে নির্যাতন চালায়।

সাইদুরের ভাই শহিদুল ইসলাম নান্নুর দাবি, তাঁর ছোট ভাইকে স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীরা পরিকল্পিতভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছেন। নিরাপত্তার স্বার্থে এখনো আত্মগোপনে আছেন তিনি।

অভিযুক্ত জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি কাবির হোসেন কাঙ্গাল জানান, আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম না। ঘটনাটি শোনার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে আমি তাকে আহত অবস্থায় ভ্যানে তুলে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করি। আমি এই ঘটনার সাথে জড়িত নই। রাজনৈতিকভাবে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে একটি পক্ষ। এছাড়া আমি বিভিন্ন সময় রোগীর খোঁজ খবর নিয়েছি। যতটা জানি তিনি দীর্ঘদিন থেকে শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন।

নাটোর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুর রহমান জানান, এই ঘটনায় এখনও কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে

আরও দেখুন

লালপুরে কুরেছান বেগমের ইন্তেকাল 

নিজস্ব প্রতিবেদক লালপুর,,,,,,,,,,,,,,দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার নাটোরের লালপুর প্রতিনিধি ও মডেল প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য সাহীন …