নিউজ ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ রবিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর, কর্ণফুলী ড্রাইডক স্পেশাল ইকোনমিক জোনসহ ৫০টি শিল্প ও অবকাঠামোর উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
তিনি গণভবন থেকে সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুনের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের কার্যক্রমের ওপর ভিডিও প্রদর্শন শেষে চট্টগ্রাম-১ আসনের এমপি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বক্তব্য দেবেন।
শেখ ইউসুফ হারুন জানান, এই উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো কর্মচঞ্চল হয়ে উঠবে।
বাসসের খবরে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ৩৩ হাজার একরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরের চারটি কারখানার পাশাপাশি সিটি অর্থনৈতিক অঞ্চলের দুটি, মেঘনা অর্থনৈতিক অঞ্চলের সাতটি এবং শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চলের একটি শিল্প-কারখানার বাণিজ্যিক কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। সেই সঙ্গে আরো আড়াই শ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ২৯টি কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী, যেখানে কর্মসংস্থান হবে অন্তত ৩৯ হাজার মানুষের। উদ্বোধন হবে অর্থনৈতিক অঞ্চলের সড়ক, ভবন, বিদ্যুেকন্দ্রসহ ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরে প্রায় দুই হাজার একর জমিতে বিনিয়োগ করতে চায় দেশের অন্যতম শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা। আরো আছে পিএইচপি, কেএসআরএম, বিএসআরএমসহ বিভিন্ন শিল্পগোষ্ঠী। এদিকে বঙ্গোপসাগরের সন্দ্বীপ চ্যানেলের কোল ঘেঁষে ৫৫০ একর জায়গাজুড়ে গড়ে ওঠা বসুন্ধরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোনের ভিত্তিপ্রস্তর ২০২০ সালের মার্চে স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে বসুন্ধরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোন লিমিটেডে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বসুন্ধরা কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড প্রকল্পটি আগামী বছরের মধ্যে চালু হলে এ কারখানায় প্রায় পাঁচ হাজার বাংলাদেশির কর্মসংস্থান হবে। এখানে কেমিক্যাল, সোডা অ্যাশ ও ইস্পাত কারখানা হবে। এর মধ্যে সোডা অ্যাশ কারখানাটি হবে বাংলাদেশে প্রথম।
প্রকল্প উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন একযোগে মোট আটটি ভেন্যু থেকে অনুষ্ঠিত হবে। ভেন্যুগুলো হলো গণভবন, ঢাকা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর (মিরসরাই, চট্টগ্রাম), শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চল (শ্রীহট্ট, মৌলভীবাজার), কর্ণফুলী ড্রাইডক এসইজেড (আনোয়ারা, চট্টগ্রাম), মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অর্থনৈতিক অঞ্চল (সোনারগাঁ, নারায়ণগঞ্জ), জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল (জামাপুর সদর), সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক (সাবরাং, কক্সবাজার) ও হোসেন্দি অর্থনৈতিক অঞ্চল (গজারিয়া, মুন্সীগঞ্জ)।
অর্থনৈতিক অঞ্চলের বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের মধ্য দিয়ে শেষ হবে অনুষ্ঠান।