নিজস্ব প্রতিবেদক:
স্বাধীনতার ৫০ বছরের দোরগোড়ায় বাংলাদেশ। আগামীকাল ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের ৪৯ বছর পূর্ণ হবে। এক বছর পরই বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী। এই ৪৯ বছরের পথপরিক্রমায় অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে বাংলাদেশের অগ্রগতি ঈর্ষণীয়। বিদেশিদের দৃষ্টিতে স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশ ছিল এক তলাবিহীন ঝুড়ি। আর এখন সমৃদ্ধ-স্বনির্ভর বদলে যাওয়া এক বাংলাদেশ। সারাবিশে^ বাংলাদেশ এখন এক উদীয়মান অর্থনীতির দেশ। যে পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিল বাংলাদেশ, সেই পাকিস্তানই এখন আর্থ-সামাজিক প্রায় সব সূচকেই পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশের চেয়ে। শুধু তাই নয়, পাকিস্তান এবং প্রতিবেশী দেশ ভারত স্বাধীনতা অর্জনের ৭৩ বছরে যে সফলতা অর্জন করতে পারেনি, বাংলাদেশ তা করে দেখিয়েছে ৪৯ বছরে। স্বাধীন বাংলাদেশের অর্থনীতির যাত্রা শুরু হয় ১৯৭২ সালে। সে সময় প্রায় প্রতিটি সূচকেই এগিয়ে ছিল ভারত-পাকিস্তান। এখন এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এটিই আমাদের স্বাধীনতার বড় অর্জন।
যেকোনো দেশের উন্নয়নের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ধরা হয় মানবসম্পদ উন্নয়ন। এক্ষেত্রেও পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। বিশ^ব্যাংকের ‘মানব উন্নয়ন সূচক, ২০২০’ প্রতিবেদন অনুযায়ী ১৭৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে
৫২তম। সেখানে পাকিস্তান ৪১ পয়েন্ট নিয়ে ৩১তম স্থানে আছে। ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে ভারত ৫৯তম স্থানে থেকে অবশ্য এ সূচকে এগিয়ে আছে। তবে কোন দেশ কতটা এগিয়েছে, তা বোঝার আরেক সহজ উপায় হলো মাথাপিছু আয়। এক্ষেত্রে ভারত-পাকিস্তান উভয় দেশের চেয়েই এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় এখন ২০৬৪ ডলার। সেখানে পাকিস্তানের ১ হাজার ৬৪১ ডলার এবং ভারতের ১ হাজার ৮৯৫ ডলার।
এ বিষয়ে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান সময়ের আলোকে বলেন, স্বাধীনতার সময় তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন। আমার বিশ^াস, সেই কিসিঞ্জার যদি আজ বেঁচে থাকতেন তাহলে তিনিই এখন বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে বিস্মিত হতেন। এখন আমরা বাংলাদেশকে নিয়ে গর্ব করে বলতে পারি সেই তলাবিহীন ঝুড়ি আজ বিশে^র বিস্ময়, উন্নয়নের এক রোল মডেল। তিনি বলেন, স্বাধীনতার সময়ে অর্থনীতির প্রতিটি সূচকে পাকিস্তান এগিয়েছিল। আজ ৪৯ বছর পর প্রায় প্রতিটি সূচকেই তারা বাংলাদেশ থেকে পিছিয়ে আছে। এটিই আমাদের স্বাধীনতার বড় অর্জন। যেকোনো দেশের উন্নয়নে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ধরা হয় মানবসম্পদ, যাতে আমরা শুধু পাকিস্তান নয়, অনেক ক্ষেত্রে ভারত থেকেও এগিয়ে আছি। নারীশিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, নারীর ক্ষমতায়ন, মা ও শিশুমৃত্যুর হার হ্রাসে বাংলাদেশ পাকিস্তানের চেয়ে অনেক এগিয়ে গেছে।
আরেক অর্থনীতিবিদ পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর সময়ের আলোকে বলেন, স্বাধীনতার এই ৪৯ বছরে বাংলাদেশ নামক এই দেশটির অর্জন অনেক। ক্ষুধা-দারিদ্র্যপীড়িত দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংস্পূর্ণ, যে বাংলাদেশে ঠিকমতো রাস্তাঘাট ছিল না, সে দেশ ৩০ হাজার কোটি টাকারও বেশি টাকায় নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু তৈরি করে। রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রসহ ১০টি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। এভাবে খাত ধরে বললে স্বাধীনতার ৪৯ বছরে বাংলাদেশ সব খাতেই পাশর্^বর্তী অনেক দেশের তুলনায় ভালো অগ্রগতি করেছে। বাংলাদেশ আজ অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ ও স্বনির্ভর এক দেশ।
আর্থিক ও সামাজিক সূচকে ভারত-পাকিস্তানের সঙ্গে আরও কিছু সূচকের তুলনা করলে দেখা যায় আসলেই বাংলাদেশ কতটা এগিয়েছে সমৃদ্ধি পথে। শিশু মৃত্যুহার রোধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অবাক করার মতো উন্নতি করেছে। একটা সময় ছিল যখন দেশে চিকিৎসার অভাবে কিংবা জনসচেতনতার অভাবে শিশু মৃত্যুহার ছিল অত্যধিক। আর এখন তা ভারত-পাকিস্তানের থেকে এগিয়ে। ভারতে প্রতি ১০০০ জনে ৩০, পাকিস্তানে ৫৮ ও বাংলাদেশে ২২ জন শিশু মৃত্যুহার। শিক্ষার হারের ক্ষেত্রেও পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। বাংলাদেশে এখন শিক্ষার হার ৭৩ দশমিক ৯ শতাংশ পাকিস্তানের ৫৯ দশমিক ১৩ শতাংশ। শিক্ষার হারে অবশ্য বাংলাদেশ ভারতের থেকে পিছিয়ে। ভারতের শিক্ষার হার ৭৪ দশমিক ৪ শতাংশ। বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার এখন ১ দশমিক ৩ শতাংশে নেমে গেছে অথচ পাকিস্তানে তা ২ দশমিক ১ শতাংশ। শিশুদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ শীর্ষে। যেখানে বাংলাদেশের রেটিং ৪ দশমিক ১, ভারতের ৫ দশমিক ৭ এবং সর্বশেষ পাকিস্তানের ৯ দশমিক ৭। জন্মনিয়ন্ত্রণ হারে বাংলাদেশ শীর্ষে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সূচক (২ দশমিক ০), ভারতের (২ দশমিক ২) এবং সর্বশেষ পাকিস্তানের (৩ দশমিক ৫)। গড় আয়ুর ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ শীর্ষে। বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ৭২ দশমিক ৩, ভারতের ৬৯ দশমিক ৪ এবং পাকিস্তানের ৬৭ দশমিক ১ বছর। গ্রোস সেভিংস জিডিপির ক্ষেত্রে শীর্ষ দেশটির নাম বাংলাদেশ ৩৩ দশমিক ৩ শতাংশ। এরপর রয়েছে ভারত ৩১ দশমিক ১ শতাংশ এবং সবার শেষে পাকিস্তান ১৯ দশমিক ৩ শতাংশ। দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা নাগরিকের এক্ষেত্রে তিন দেশের পরিস্থিতিতে খুব একটা বড় পার্থক্য নেই। দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা নাগরিক ভারতে ২১ দশমিক ৯ শতাংশ, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানে সমান ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ। তিনটি দেশের মধ্যে এখনও কেউই শতভাগ বিদ্যুতায়ন করতে পারেনি। তবে এক্ষেত্রে ভারত এগিয়ে। তাদের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগের সূচক ৯৫ দশমিক ২ শতাংশ, বাংলাদেশ ৮৫ দশমিক ২ শতাংশ ও পাকিস্তান ৭১ দশমিক ১ শতাংশ।
করোনা মহামারি আঘাত হানার আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের রফতানি আয় হয়েছিল ৪০ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার, পাকিস্তানের ওই বছরের রফতানি আয় ছিল মাত্র ২৩ বিলিয়ন ডলার আর ভারতের রফতানি আয় ৩১৩ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৪০ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারে, পাকিস্তানের মাত্র ১৩ বিলিয়ন ডলার আর ভারতের ৩৩০ বিলিয়ন ডলার। মুদ্রার বৈদেশিক বিনিময় হারে বাংলাদেশ এখন পাকিস্তানকে অনেক পেছনে ফেলে দিয়েছে। বাংলাদেশের মুদ্রা ৮৫ টাকায় এখন ১ ডলার পাওয়া যায় আর ওই ১ ডলার পেতে এখন পাকিস্তানে ১৫৮ রুপি লাগে।
সন্ত্রাসবাদ দমনে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সফল অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। চলতি বছরসহ গত কয়েক বছরের সন্ত্রাসবাদ সূচক থেকে উঠে এসেছে এমন তথ্য। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার সিডনিভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিসের (আইইপি) বৈশি^ক সন্ত্রাসবাদ সূচক ২০২০ প্রকাশ করে। এতে ৩৩তম স্থানে অবস্থান বাংলাদেশের। প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশের স্কোর ৪ দশমিক ৯০৯। ৭ দশমিক ৫৪১ পয়েন্ট নিয়ে পাকিস্তান সাত, ৭ দশমিক ৩৫৩ পয়েন্ট নিয়ে ভারত আট, ৬ দশমিক ০৬৫ পয়েন্ট নিয়ে শ্রীলঙ্কা ২০, ৫ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে নেপাল ২৭ নম্বরে অবস্থান করছে।
উন্নত দেশ হতে কাজ চলছে ১০ মেগা প্রকল্পের : উন্নয়নের মহাসড়কে রয়েছে এখন বাংলাদেশ। নিম্ন আয়ের দেশ থেকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ। এরপর মধ্য আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ। এখন বাংলাদেশ স্বপ্ন দেখছে উন্নত দেশ হওয়ার। বর্তমান সরকারের লক্ষ্য রয়েছে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত দেশে নিয়ে যাওয়া। বাংলাদেশকে উন্নত দেশের মহাসড়কে নিতে কাজ চলছে ১০টি মেগা প্রকল্পের।
পদ্মা সেতু প্রকল্প : সরকারের নিজস্ব অর্থে বাস্তবায়ন করতে এ প্রকল্পটিতে ব্যয় হচ্ছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। এটি এখন দৃশ্যমান স্বপ্নময় প্রকল্প। গত ১০ ডিসেম্বর পদ্মা সেতুর ৪১তম স্প্যানটি বসার মাধ্যমে পুরো পদ্মা সেতু এখন দৃশ্যমান। আশা করা হচ্ছে, আগামী বছরের ডিসেম্বরেই পদ্মা সেতুতে গাড়ি চলবে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র : দেশের সর্বোচ্চ ব্যয়ের প্রকল্প এটি। বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৯২ কোটি টাকা। এর মধ্যে গত আগস্ট মাস পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ১০ হাজার ২০৭ কোটি টাকা। ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ রয়েছে। কাজ শুরু হয়েছে ২০১৬ সালের জুলাই মাস থেকে।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র : বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি তৈরি হচ্ছে। এতে ব্যয় হচ্ছে ১৬ হাজার কোটি টাকা। ২০০৯ সালের জুলাইয়ে এর কাজ শুরু হয়েছে। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ১০ দশমিক ৯৯ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ১৭ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র : জাপান সরকারের অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ৩৫ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকা। প্রকল্পের আওতায় প্যাকেজ ১ দশমিক ১-এর পাওয়ার প্লান্ট এবং ওপার্ট ফ্যাসিলিটিজের কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। প্যাকেজ ১ দশমিক ২-এর আওতায় প্লান্ট এবং পোর্ট ফ্যাসিলিটিজের কাজ এখন পর্যন্ত ২০ দশমিক ১৬ শতাংশ হয়েছে।
মেট্রোরেল প্রকল্প : জাপান সরকারের অর্থায়নে ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজধানীতে বাস্তবায়ন হচ্ছে মেট্রোরেল প্রকল্প। প্রকল্পটির শুরু থেকে আগস্ট পর্যন্ত আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ২৩ দশমিক ২২ শতাংশ। ২০১২ সালের জুলাই থেকে কাজ শুরু হয়। শেষ হবে ২০২৪ সালে।
এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ : প্রকল্পটি বিল্ট ওন অপারেট অ্যান্ড ট্রান্সফার পদ্ধতিতে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর সঙ্গে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ফাস্ট ট্র্যাক প্রজেক্ট মনিটরিং কমিটির ১০ম সভায় গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্পটিও যুক্ত করা হয়।
পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ : পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের জন্য এ প্রকল্পকে ১৯টি কম্পোন্যান্টে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭টি কম্পোন্যান্ট সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে, ৬টি কম্পোন্যান্ট পিপিপির মাধ্যমে এবং ৬টি কম্পোন্যান্ট জি-টু-জি পদ্ধতির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ : চীন সরকারের অর্থায়নে জি-টু-জি পদ্ধতিতে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পের শুরু থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৯ হাজার ৮৮ কোটি টাকা। প্রকল্পের সার্বিক ভৌত অগ্রগতি ১৫ দশমিক ২ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ২৩ দশমিক ১৫ শতাংশ। ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে কাজ শুরু হয়। ২০২২ সালে কাজ শেষ হওয়ার কথা।
ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্প : এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পটির সার্বিক ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ১১ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ২৩ দশমিক ১৫ শতাংশ। ২০১০ সালের জুলাই থেকে কাজ শুরু হয়েছে। মেয়াদ নির্ধারণ করা আছে ২০২২ সালের জুলাই পর্যন্ত।
কর্ণফুলী টানেল : এ ছাড়া চট্টগ্রামে কর্ণফুলী টানেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রকল্প দুটির মোট নির্মাণ ব্যয় হচ্ছে ১৩ হাজার ১৩০ কোটি টাকা। সড়ক ও সেতু বিভাগ কর্ণফুলীর মোহনায় (বঙ্গোপসাগর ও নদীর মিলনস্থল) ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’ নির্মাণ করছে। কর্ণফুলীর দক্ষিণ তীর তথা আনোয়ারা ও কর্ণফুলী উপজেলা টানেলের মাধ্যমে মূল নগরের সঙ্গে যুক্ত হবে। চীনের সাংহাইয়ের আদলে গড়ে উঠবে দুই শহরের সমন্বয়ে একটি নগর। ২০১৭ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিন পিং ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে এই টানেলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
আরও দেখুন
নন্দীগ্রামে রস সংগ্রহের জন্য খেজুরগাছ প্রস্তুত
নিজস্ব প্রতিবেদক নন্দীগ্রাম ,,,,,,,,,,বগুড়ার নন্দীগ্রামে রস সংগ্রহের জন্য খেজুরগাছ প্রস্তুত করা হয়েছে। এখন হেমন্তকাল। মাঠ …