বিশ্ববিখ্যাত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর সারাহ গিলবার্ট, একজন ম্যালেরিয়া ভ্যাকসিন বিশেষজ্ঞ। তাঁর গবেষণাগারে আবিষ্কৃত বেশ কিছু ভ্যাকসিন এখন ক্লিনিকাল ট্রায়ালে রয়েছে।
তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে পৃথিবীর সমস্ত শক্তিকে কাত করে ফেলা করোনা ভাইরাসের (কোভিড- ১৯) এর ভ্যাকসিন। আজকেই মানবদেহে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হল।
তিনি অত্যন্ত আশাবাদী যে এটি কোভিড- ১৯ ভাইরাসের বিরুদ্ধে মোক্ষম প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হবে। এই যুগান্তকারী আবিষ্কার ও গবেষণায় অধ্যাপক-বিজ্ঞানী সারা গিলবার্ট-এর নেতৃত্বের দলে আরও রয়েছেন অধ্যাপক অ্যান্ড্রু পোলার্ড, টেরেসা লাম্বে, অধ্যাপক অ্যাড্রিয়ান হিল ও ডঃ স্যান্ডি ডগলাস।
তাদের দাবি, এই ভেক্টর ভ্যাকসিন ইবোলার মতোই নষ্ট করে দেবে সার্স কভ-২ আরএনএ ভাইরাল স্ট্রেইনকে। Dr Elisa Granato Department of Zoology University of Oxford ৩২ বছর বয়সী ডঃ এলিসা গ্রানাটো, তিনি নিজে একজন বিজ্ঞানী ও গবেষক। প্রফেসর সারাহ গিলবার্ট করোনা ভাইরাসের যে ভ্যাকসিনটি আবিষ্কার করেছেন তা মানুষের উপর প্রয়োগ পরীক্ষায় প্রথম ডঃ এলিসা স্বেচ্ছায় নিজের উপর প্রয়োগ করেছেন। এতে তাঁর অনেক স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি রয়েছে, এমনকি মৃত্যুঝুঁকিও রয়েছে। তা সত্ত্বেও মানবতার মন্ত্রে দীক্ষিত সারা পৃথিবীর সাড়ে সাতশ কোটি মানুষকে করোনার থাবা থেকে মুক্তির জন্য মাত্র ৩২ বছর বয়সে এতো বড় ঝুঁকি নিয়েছেন।
আসুন আমরা এই প্রকৃত মানব সেবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। আমরা তাঁদের সাফল্য কামনা করি। গ্রেনেড বোমা কখনও ই শান্তি এনে দিতে পারে না, শুধু মানবতাই বিশ্বশান্তি নিশ্চিত করতে পারে।
লেখক- বিপ্লব তালুকদার,উপ কমিশনার পুলিশ,ঢাকা মেট্রোপলিটন