নিউজ ডেস্ক:
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, সংবিধানের প্রতি লক্ষ্য রেখে বিচার প্রশাসনকে রাখতে হবে স্বচ্ছ, দুর্নীতিমুক্ত ও স্বাধীন। দুর্নীতিমুক্ত বিচার ব্যবস্থা দেশ ও জাতির জন্য গর্বের। তাঁর প্রত্যাশা, বিচার বিভাগ ও বিচারালয়কে যেন কোনোভাবেই রাজনীতিকীকরণ করা না হয়।
গতকাল রোববার সুপ্রিম কোর্ট বার ও অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধান বিচারপতি। আপিল বিভাগের এক নম্বর এজলাস কক্ষে অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারকরা
উপস্থিত ছিলেন। তবে বিএনপিপন্থি আইনজীরা এতে অংশ নেননি।
৩৭ কার্যদিবস অবকাশের পর গতকাল উচ্চ আদালতের বিচারকাজ শুরু হয়। রীতি অনুসারে প্রধান বিচারপতিকে বিচারকক্ষে সংবর্ধনা জানানো হয়েছে। প্রথমে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন প্রধান বিচারপতির কর্মময় জীবনের কথা তুলে ধরেন। পরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকির বক্তব্য দেন।
রায়ের সমালোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসংগত বাধানিষেধ সাপেক্ষে সংবিধানে এই বাকস্বাধীনতার নিশ্চয়তা বিধান করা হয়েছে। তবে কেউ যদি স্বাধীনতার অপব্যবহার করে, তা সংবাদমাধ্যমই হোক, আইনজীবী বা যে কেউ হোক, তাকে শায়েস্তা করার জন্য আদালতের হাত যথেষ্টই লম্বা।’
অনুষ্ঠানে ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, এএফ হাসান আরিফ, ফিদা এম কামালসহ জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও আইন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে এই সংবর্ধনায় যোগ না দিয়ে ইউনাইটেড ল ইয়ার্স ফ্রন্টের আহ্বানে বিএনপিপন্থি ও সমমনা আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনের সামনে কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ করেন।
দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে গত ১২ সেপ্টেম্বর ওবায়দুল হাসানকে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। ২৬ সেপ্টেম্বর শপথ গ্রহণের মাধ্যমে দায়িত্ব শুরু হয় নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতির।