নিউজ ডেস্কঃ
বিচারকের রায়ের সমালোচনা করে টুইট করার অপরাধে এক সাংবাদিক ও অধিকার কর্মীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে মরক্কো সরকার। তার বিরুদ্ধে ‘বিচারককে অপমান’ করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এ অভিযোগে তার এক বছরের কারাদণ্ড হতে পারে বলে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। ২ জানুয়ারি তার বিরুদ্ধে এ রায় দিতে পারে দেশটির আদালত।
অনুসন্ধানী ওই সাংবাদিকের নাম ওমর রেড্ডি বলে জানা গেছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার এই সাংবাদিক বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিডিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং সেগুলোতে লেখালেখি করেন।
শনিবার এক বিবৃতিতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানায়, ৯ মাস আগে ওই টুইট করেন রেড্ডি। এতে তিনি দোষী সাব্যস্ত হলে তার এক বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক এই মানবধিকার সংস্থা।
আটক সাংবাদিক ও অধিকার কর্মীর মুক্তির দাবিতে শুক্র ও শনিবার রাজধানী রাবাতে সংসদ ভবনের বাইরে র্যালি করেছে দেশটির জনগণ। র্যালিতে অংশ নেয়া মাতি মনজিব নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে লেখালেখির কারণে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিক ওমর রেড্ডিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমি এই অবৈধ গ্রেফতারের নিন্দা জানাই এবং তার মুক্তির দাবি জানাই।’
এপ্রিলে আপিল বিভাগের এক বিচারকের রায়ের সমালোচনা করে টুইট করেন রেড্ডি। সেখানে তিনি লেখেন, ‘লাহসেন তোলফির মতো আপিল বিচারকের বিষয়ে আমাদের আবার ভাবা উচিত। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তার মতো সরকারের অনুগত বিচারকরা ভিক্ষা করে এসব জায়গায় ফিরে আসে। তারাই আবার দাবি করে, তারা না কি ন্যায়বিচার করে থাকেন। এরকম চাটুকর সরকারি কর্মকর্তাদের ভোলা যায় না, তাদের ক্ষমা নেই।’