সোমবার , ডিসেম্বর ২৩ ২০২৪
নীড় পাতা / জাতীয় / বিক্রিতে ৩৭ বছরের রেকর্ড অতিক্রমের সম্ভাবনা

বিক্রিতে ৩৭ বছরের রেকর্ড অতিক্রমের সম্ভাবনা

নিউজ ডেস্ক:

এবারের গ্রন্থমেলায় বই বিক্রিতে বিগত ৩৭ বছরের রেকর্ড অতিক্রমের সম্ভাবনা দেখছেন প্রকাশকেরা। তারা বলছেন, বিগত সব বছরের তুলনায় এ বছর মেলায় ক্রেতাদের ভিড় সবচেয়ে বেশি। গতকাল পর্যন্ত যে পরিমাণ বিক্রি হয়েছে তাতে তাদের ধারণা ১৭ মার্চ শেষে এবারের বইমেলা বিগত সব বছরের বিক্রির রেকর্ড অতিক্রম করবে।
বিক্রেতারা জানান, এ বছর মেলা ১৫ দিন পিছিয়ে শুরু হলেও শুরু থেকেই ক্রেতার চাপ ছিল। বিগত ছুটির দিন আর গত ২১ ফেব্রুয়ারি যে পরিমাণ পাঠক মেলায় এসেছেন তা বিগত সময়ে আর কখনো দেখা যায়নি। তাদের ধারণা মেলার সময় বৃদ্ধিতে সামনের বাড়তি দিনগুলোতে ক্রেতা আরো বাড়বে।

১৯৮৪ সালে বই মেলার সূচনার পর প্রতি বছর ধাপে ধাপে প্রকাশক বাড়ার সাথে বই বাড়ছে। সে সাথে বাড়ছে পাঠক ও লেখক। তাই প্রতি মেলাইতেই বিগত বছরের চেয়ে বিক্রি বেশি হয়। কিন্তু করোনা মহামারী শুরুর পর গত বছরই শুধু তার ব্যতিক্রম ছিল। নির্ধারিত সময়ের আগেই মেলা শেষ হয়।
বাংলা একাডেমির হিসাব মতে, বিগত আট বছরের মধ্যে ২০১৯ সালে বিক্রির পরিমাণ ছিল ৮০ কোটি টাকা, ২০১৮ সালে ছিল ৭০ কোটি ৫০ লাখ, ২০১৭ সালে ৬৫ কোটি ৪০ লাখ, ২০১৬ সালে ৪০ কোটি ৫০ লাখ, ২০১৫ সালে ২১ কোটি ৯৫ লাখ, ২০১৪ সালে ছিল সাড়ে ১০ কোটি এবং ২০১৩ সালে ১৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা। আর সর্বশেষ ২০২০ সালে মেলায় বিক্রি হয় প্রায় ৮২ কোটি টাকার বই। তবে করোনা মহামারী ভয়াবহ আকার ধারণ করায় গত বছর নির্ধারিত সময়ের আগে শেষ হওয়া মেলায় বিক্রির অঙ্ক প্রকাশ করা হয়নি। সে হিসাবে ২০১৪ থেকে ২০২০ পর্যন্ত ছয় বছরে একুশের বইমেলায় মোট বই বিক্রির পরিমাণ বেড়েছে ৫ গুণের বেশি।
১৯৮৪ সালে অমর একুশে গ্রন্থমেলার সূচনা হয়। মাত্র ৩২টি বই নিয়ে সে মেলা ধাপে ধাপে আজ বিশে^র সবচেয়ে বড় বইমেলায় পরিণত হয়েছে। বাংলা একাডেমি চত্বরে স্থান সঙ্কুলান না-হওয়ায় ২০১৪ সাল থেকে মেলা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্প্রসারণ করা হয়।
বিক্রেতারা জানান, এবারের বই মেলায় বরাবরের মতোই চাহিদার শীর্ষে গল্প, উপন্যাস, গবেষণাধর্মী বই ও প্রবন্ধ। তবে মেলায় রেকর্ডসংখ্যক বই এলেও মানসম্পন্ন বইয়ের সংখ্যা কম। তাদের মতে নতুন লেখকদের বই পাঠকদের চাহিদা পূরণ করতে পারছে না। যার কারণে নতুনদের বই বিক্রি অনেকটা কঠিন হয়ে গেছে। তবে তাদের প্রত্যাশা আগামীতে হয়তো এদের মধ্য থেকেই নাম করা লেখক বের হয়ে আসবে।
মেলায় পরিলেখ প্রকাশনী এনেছে ‘এবনে গোলাম সামাদ রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড’। বইটির দ্বিতীয় খণ্ডও ছাপার কাজ চলছে। বিশ^সাহিত্য ভবন নিয়ে এসেছে সাংবাদিক আবেদ খান এর ‘ষড়যন্ত্রের জালে বিপণœ রাজনীতি’। ডাহুক প্রকাশন কবি ফররুখ আহমদের বাছাই কিছু কবিতা নিয়ে প্রকাশ করেছে ‘পাখির ছড়া’। শাপলা দোয়েল প্রকাশ করেছে ‘ত্রি’। বইটির লেখক এইচ এ ববি।
বইমেলার ১৪তম দিনে গতকাল মেলা চলে বেলা ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। বিকেল ৪টায় বইমেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘আনিসুজ্জামান, রফিকুল ইসলাম, শামসুজ্জামান খান’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গোলাম মুস্তাফা এবং এম আবদুল আলীম। আলোচনায় অংশ নেন সারওয়ার আলী এবং সাইমন জাকারিয়া। সভাপতিত্ব করেন মুনতাসীর মামুন। সন্ধ্যায় ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

আরও দেখুন

পেঁয়াজের চারা পুড়ে শেষ-কৃষকের মাথায় হাত! জমিতে এখন শুধুই ঘাস!

নিজস্ব প্রতিবেদক নলডাঙ্গা,,,,,,,,,,,,,,,,,জমিতে নষ্ট হওয়া পেঁয়াজের চারা দেখে নিজেদের ধরে রাখতে পারেননি জমি লিজ নিয়ে …