নিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ২০০১-২০০৬ সাল বিভীষিকাময় পরিস্থিতির কারণে সব সময় চিহ্নিত হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
সেখানে তিনি বলেন, একটি দেশকে ক্ষমতাসীন দল চাইলে কতটা নারকীয় পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে, তার নিদর্শন বিএনপি-জামায়াতের এই শাসনামল। সে সময়কার পরিণত মানসিকতার মানুষ যারা বেঁচে আছেন, সেই শাসনামলের কথা মনে পড়লে আজও তারা শিউরে ওঠেন। ধীরে-সুস্থে নয়, ক্ষমতায় বসার আগে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল পিশাচদের জ্যান্তব উল্লাস।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা জয় বলেন, ক্ষমতায় এসেই বিএনপি-জামায়াত সরকার ১০০ দিনের একটি কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। গালভরা কথা মনে হলেও দেশবাসী উপায় না দেখে আশায় বুক বেঁধেছিল, এই বুঝি খুন, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, সংখ্যালঘু নিপীড়নসহ সব কিছু বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু না, কিছুই ঘটেনি; জনতাকে দেয়া সেই ১০০ দিনের প্রতিশ্রুতির বেলুন ফুটো হয়ে গেছে। অর্থনীতি, আইন-শৃঙ্খলা, রাজনীতি, প্রশাসনসহ সর্বক্ষেত্রেই সরকারের চরম ব্যর্থতা মানুষকে আশাহত করেছে। দেশ নিয়ে উচ্চাশা করতেন যারা, সেই বুদ্ধিজীবীদের মুখে কুলুপ ঠেসে দেয়া হলো। কেউ প্রতিবাদ করলে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছিল কালো তালিকায়।
জয় বলেন, ‘দেশ কে চালাচ্ছে, মানুষের মধ্যে এই প্রশ্ন জেগে ওঠা কি স্বাভাবিক নয়? খালেদা জিয়ার ডাক নাম ছিল পুতুল। আক্ষরিক অর্থেই তাকে ‘পুতুল’ বানিয়ে রেখেছিল তারেক এবং তার গ্যাং। তবে খালেদা জিয়া ‘পুতুল’ অবস্থাতে থাকলেও তার সায় ছিল পুত্রের যাবতীয় অপকর্মে। বিলাসী জীবনে অভ্যস্ত খালেদা জিয়া পুত্রদের সকল অপকর্মের অন্যতম দোসর। শুধু সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে তিনি গদিতে বসতেন, সই করার এখতিয়ারটুকু ছিল তার। বাদ বাকি ক্ষমতা ছিল মাফিয়া সর্দার তারেক রহমানের হাতে।’
দেশের খনিজসম্পদ এবং ব্যবসা-বাণিজ্য বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার একটা কমিটমেন্ট দিয়ে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আরোহন করেছিল বিএনপি-জামায়াত জোট। পরবর্তীতে তার প্রমাণ মেলে। কীভাবে রাষ্ট্রায়ত্ত গ্যাসক্ষেত্র বিদেশিদের হাতে তুলে দিয়ে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছিল। জ্বলে-পুড়ে নিঃশেষ হয়ে যায় রাষ্ট্রের অমূল্য খনিজ গ্যাস। ক্ষতিপূরণ যেন দিতে না হয়, সেজন্য বিএনপি-জামায়াত নেতৃবৃন্দ এবং আমলাদেরকে দেওয়া হয়েছিল বিপুল অঙ্কের উপঢৌকন, দেশে-বিদেশে নানা সুবিধা, গাড়ি, ফ্ল্যাট ইত্যাদি। এসব যদিও ১০০ দিনের পরের ঘটনা, তবুও এসব বলার উদ্দেশ্য হলো, সেই সরকার কাদের সহায়তায় ক্ষমতা বসেছিল, তার ধারণা দেওয়ার জন্য।