নিউজ ডেস্ক: আওয়ামী লীগের ২১তম সম্মেলনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও এতে উপস্থিত হননি বিএনপির নেতৃবৃন্দ। এমনকি ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের এ অনুষ্ঠানে না যাওয়ার আহ্বান জানালেও তা তোয়াক্কা করেনি ফ্রন্টের নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে মঞ্চের সামনে দর্শক সারির প্রথমেই বসেছিলেন তিনি। এ নিয়ে বিব্রত হয়েছে বিএনপির হাইকমান্ড।
সম্মেলনে কী প্রত্যাশা সুলতান মনসুরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া দল আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সুদৃঢ় নেতৃত্বে দলটি আজ সুসংগঠিত ও সুশৃঙ্খল। তার নেতৃত্বে সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠন করাই আওয়ামী লীগের ২১তম সম্মেলনের শপথ হোক—এটাই আমার প্রত্যাশা।
সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আরও বলেন, সম্মেলনে আমাকে দাওয়াত করা হয়েছে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতা হিসেবে। আমি চাইলেই সম্মেলনে নাও যেতে পারতাম। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী একজন কর্মী। তাই আমি সম্মেলনে যোগ দিয়েছি।
বিএনপি থেকে ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের সম্মেলনে যোগ দিতে নিষেধ করা হয়েছে কিনা জানতেই চাইলে তিনি বলেন, অন্যদের বলেছে কিনা তা আমি বলতে পারবো না। তবে আমাকে এ সম্পর্কিত একটা বার্তা দেয়া হয়েছিলো- কিন্তু আমি সেটিকে অযৌক্তিক আবদার মনে করেছি এবং তা এক অর্থে প্রত্যাখ্যানও করেছি।
এদিকে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া প্রমুখ।
এছাড়াও শরিক দল ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের সভাপতি মিসবাহুর রহমান, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বিকল্প ধারার মহাসচিব মেজর (অব.) মান্নানকেও সম্মেলনে দেখা গেছে।