সিলেট জেলা ও মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার পর নবগঠিত কমিটিতে যুবদলের সাবেক নেতাদের মূল্যায়ন না করায় কেন্দ্রীয় পদ থেকে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এমএ হক, তাহসীনা রুশদীর লুনা, ক্ষুদ্র ঋণবিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাকসহ কয়েক নেতা। আর এ নিয়ে বিএনপির ভাঙ্গনের গুঞ্জন আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো সর্বমহলে। ছাত্রদলের পদবঞ্চিত বিবাহিত নেতাদের আমরণ অনশনের মাঝেই দলের জেলা কমিটির শীর্ষ চার নেতার পদত্যাগ যেন বিএনপির ‘লেজেগোবরে’ রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে করেছে আরো স্পষ্ট।
জানা গেছে, শনিবার দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে কেন্দ্রীয় পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে লিখিত আবেদন করেছেন এই নেতারা। এর আগে শুক্রবার রাতে এক জরুরি সভার পর গণমাধ্যকে এই সিদ্ধান্ত জানান সিলেটের নেতারা। তারা বলেন, “আমাদের কাজকে মূল্যায়ন করা হয়নি। আমরা আমাদের পদের ব্যাপারে লিখিত আবেদন করব।”
পদত্যাগের বিষয়ে মেয়র আরিফ বলেন, “লন্ডন থেকে যুবদলের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ কারণে রাজপথে যারা আন্দোলন-সংগ্রাম করছেন, তাদের জেলা ও মহানগর যুবদলের কমিটিতে মূল্যায়ন করা হয়নি। এমনকি যারা দলের পক্ষে আন্দোলন করে নির্যাতিত হয়েছেন, তাদেরও মূল্যায়ন করা হয়নি। এ কারণে আমরা আজ কেন্দ্রীয় পদ থেকে পদত্যাগ চেয়ে একটি লিখিত আবেদন করব। টাকা দিলে পদ পাবে, এমনটা তো মানা যায়না!”
জানা গেছে, শুক্রবার যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব ও সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু সিলেট জেলা ও মহানগর শাখা কমিটি ঘোষণা করেন। কমিটিতে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান পাপলুকে জেলার আহ্বায়ক করে ২৯ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করে নীরব-টুকু প্যানেল। এ ছাড়াও নজিবুর রহমান নজিবকে মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক করতে মোটা অংকের টাকা ঘুষ নেন টুকু।
কেন্দ্রীয় বিএনপির রিজভী-ফখরুল গ্ৰুপের পুরোনো কোন্দলের পাশপাশি নতুন করে প্রতিটি অঙ্গ সংগঠনের কোন্দলকে বিএনপির ভাঙ্গনের পূর্বাভাস বলেই মন্তব্য করেছেন একাধিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক।