‘যে দলের মধ্যে গণতন্ত্র নেই, সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বচ্ছতা নেই, অদৃশ্য ইশারায় দল চলে- সে দলে থাকার কোন মানে নেই” দল ছাড়ার কারণ জানতে চাইলে সাংবাদিকদের এমনটাই বলছিলেন বিএনপির অন্যতম একজন প্রভাবশালী নেতা লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান। বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারনী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্যও ছিলেন তিনি।
অন্যদিকে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খানও বিএনপির রাজনীতিতে খুব প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। দলের ফান্ড দেওয়া অন্যতম নেতা ছিলেন তিনি। মোরশেদ খান কিছুদিন আগে অভিযোগ করেছিলেন, ‘তারেককে অর্থ দিতে দিতে তিনি ফতুর হয়ে গেছেন। তিনি আর দল করতে চান না।’ ঠিক তার একমাস পর তিনি দল থেকে সরে দাঁড়ালেন। সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোরশেদ খানও তার পদত্যাগপত্রে বলেছেন, ‘দলের ভেতরে গণতন্ত্র নেই। দলের ভিতরে কোন জবাবদিহীতা নেই। দলের নেতৃত্বের মধ্যে কোন সমন্বয় নেই। দল চলে লন্ডনের স্কাইপিতে। স্কাইপিতে কোন রাজনৈতিক দল চলতে পারে না।’
ইতোমধ্যে তারেকের নেতৃত্বে অনাস্থা জানিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খানের পর বিএনপি ছেড়েছেন সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্য লে.জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান নিজেও। বিএনপির কয়েকটি নির্ভরযোগ্য সূত্র বলেছে দলে তারেক বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছে। তার মূল কারন হলো দল নিয়ে তারেকের হঠকারী সিদ্ধান্ত। এছাড়া তারেক সিনিয়র নেতাদের সাথেও বেয়াদবি করেন সব সময়। সূত্র বলে বিএনপির একাধিক সিনিয়র নেতাকর্মীকে ফোনে গালিগালাজ করেছেন তারেক।
দলের এমন বড় নেতাদের দল ছাড়ার হিড়িকে অনেকটা কোণঠাসা মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীপন্থী এই দলটি।