নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের সিংড়া উপজেলার ২ নং ডাহিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান এম এম আবুল কালামের কর্মী– সমর্থকদের বিরুদ্ধে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নৌকা ভোটারদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মামুন সিরাজুল ইসলাম ।ডাহিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে বহিরাগত ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের নিয়ে অস্ত্রের মহড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এম,এম আবুল কালাম বিরুদ্ধে। রবিবার আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২৬ ডিসেম্বর নির্বাচন হবে ওই ইউনিয়নে। নির্বাচনের দিন যতই কাছাকাছি চলে আসছে ততই ভোটার ও প্রার্থীদের মধ্যে উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হচ্ছে। ডাহিয়া ইউনিয়ন আঃলীগ অধ্যুষিত এলাকা। এলাকাটি আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক হিসাবে পরিচিত। সেখানে নৌকার ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম । ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামে বহিরাগত ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের নিয়ে অস্ত্রের মহড়া দিচ্ছেন। এছাড়া পোষ্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে।
গত শনিবার রাতে ডাহিয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা দিনমজুর রহিমা বেগম জানান, আমি সরকারী খাসজমিতে বাস করি। ঐ ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি খয়ের উদ্দীনে ছেলে আব্দুস সালাম আমাকে বলে ঘোড়া মার্কায় ভোট না দিলে আমাকে বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হবে।
একই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ কর্মী শাহীন আলম বলেন, আমরা নৌকার পক্ষে কাজ করায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালামের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী যুবদল নেতা কামাল,আলহাজ্ব আর কেদার প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। ঘোড়ার কর্মীর ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে, ভোট কেন্দ্রে গেলে প্রকাশ্যে টেবিলে ঘোড়ায় সিল দিতে হবে। এ ছাড়া কেউ নৌকা প্রতীকের এজেন্ট হলে তাকে নির্বাচনের পরে দেখে নেওয়া হবে।
ডাহিয়া ইউনিয়নের ১ নং ওর্য়াড আঃলীগের সাধারণ সম্পাদক নওশের আলী জানান, নৌকার প্রার্থী মামুন সিরাজুল মজিদের পক্ষে কাজ করার জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদেও লোকজন রাতে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে ।
ডাহিয়া ইউনিয়নের ছাত্রলীগ কর্মী বানী ইসলাম শিমুল বলেন, নৌকার পক্ষে কাজ করার জন্য আমাকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের লোকজন রাস্তাঘাটে হুমকি ধমকি দিচ্ছে। ভোটশেষে আমাকে মেরে গ্রামছাড়া করা হবে।
নৌকার প্রার্থী মামুন সিরাজুল ইসলাম জানান, ঘোড়ার কর্মীদের বিধি লঙ্ঘন ও তাদের হুমকির বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, রিটার্নিং অফিসারসহ প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ে অভিযোগ করা হয়েছে। নৌকার গণজোয়ার দেখে ভীত হয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান হুমকি ধামকি দিচ্ছে ।বিএনপির সন্ত্রাসীদের ভাড়া করে মাঠ দখলের চেষ্টা করছে ।
অভিযোগের ব্যাপারে ঘোড়ার প্রার্থী আবুল কালাম জানান,আমার কোনো কর্মী তার কর্মীদের হুমকি তো দূরের কথা, উল্টো তার এবং তার কর্মীদের নির্যাতন ও হুমকিতে আমরা আতঙ্কে আছি। নৌকার প্রার্থীর অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
ডাহিয়া ইউনিয়নের রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার আমিনুর রহমান জানান, নৌকার প্রার্থীর অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। যে যাই বলুক নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে। ভোট কেন্দ্রে কেউ ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে পার পাবে না।