প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে এখন আতঙ্কে আছে দেশবাসী। দিনকে দিন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। যে কারণে স্থবির হয়ে গেছে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনও। তাইতো ঘরে বসেই দিন কাটছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূইয়ার।
তবে ঘরে বসে থাকলেও এই বিপদে মন কাঁদছে তারকা মিডফিল্ডারের। করোনাভাইরাস নিয়ে সবার মধ্যে যে উদ্বেগ বিরাজ করছে তাতে জামালও শঙ্কিত। এক বার্তায় তিনি দেশবাসীকে বাড়িতে নিরাপদে থাকার আহবান জানিয়েছেন। করোনার বিরুদ্ধে সচেতনা সৃষ্টি করতে বিশ্বব্যাপী তারকা খেলোয়াড়রা ‘স্টে এট হোম’ অর্থাৎ ‘বাড়িতে থাকো’ হ্যাশট্যাগে দারুণ এক কাজ শুরু করেছেন। যেখানে টয়লেট পেপার দিয়ে কারিকুরি দেখিয়ে সেই ভিডিও আপলোড করতে বলা হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এই চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি, সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্রীড়াবিদ উসাইন বোল্ট, ইংল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেট অধিনায়ক ইয়ান বেলসহ অনেকে।
এবার এ তালিকায় যুক্ত হয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামালও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের পেজে এই চ্যালেঞ্জ নিয়ে ভিডিও পোস্ট করেছেন জামাল। যেখানে দেখা যাচ্ছে, নিজের ঘরের মধ্যেই টয়লেট পেপার নিয়ে দুই পায়ে কারিকুরি করছেন। এই ভিডিওর ক্যাপশনে জামাল লিখেছেন, ‘সবাই বাড়িতে থাকুন, নিরাপদ থাকুন এবং একটিভ থাকুন। আপনারাও স্টে এট হোম চ্যালেঞ্জ নিন এবং সেই ভিডিও দিন মন্তব্যের ঘরে।’ গত জানুয়ারিতে আচমকাই জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেন জামাল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ছবির মধ্য দিয়ে তার বিয়ের খবর জানা যায়। ওই সময় ছবিতে দেখা যায়, বিয়ের সাজে কনেসহ বর আসনে আছেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল। জন্মভূমি ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনের গোল্ডেন প্যালেসে হয় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। জামাল বর্তমানে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের দল সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে খেলেন।
জামালের জাদুর ছোঁয়ায় আলাউদ্দিনের চেরাগের মতো পাল্টে যায় বাংলাদেশের ফুটবল। ইংলিশ কোচ জেমি ডে ও অধিনায়ক জামাল ভ‚ঁইয়া লাল-সবুজের দেশের সাম্প্রতিক চোখ ধাঁধানো সাফল্যের রূপকার। ২০১৬ সালের অক্টেবর মাসে ভুটানের কাছে হারের পর নির্বাসনে চলে যায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু ২০১৮ সালের ২৭ মার্চ থেকে। ১৭ মাস আন্তর্জাতিক ফুটবলের বাইরে থাকার পর বাংলাদেশের ফুটবলে এসেছে আমূল পরিবর্তন। ২০১৯ সালে দুর্দান্ত পারফর্মেন্স প্রদর্শন করেন সাদ, রায়হানরা। এখন যে কোন দলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে জানেন বেঙ্গল টাইগার্সরা। অবশ্য গত বছরের শেষটা প্রত্যাশামতো হয়নি বাংলাদেশের।